নিউজ ডেস্কঃ যশোরের চৌগাছার একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে জামিরা গ্রামের সোয়েব আক্তারকে পুলিশ বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি চাকরি ফিরে পেতে এবং ওই তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সোয়েব আক্তার এ দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি মেম্বর আনোয়ার হোসেন, সোয়েব আক্তারের পিতা মোশারফ হোসেন, মা জেসমিন বেগম, বোন পাপিয়া খাতুন, চাচা আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহিম, মিজানুর রহমান, রিয়াজুদ্দিন, তবিউল ইসলাম, আজিজুর রহমান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সোয়েব আক্তার বলেন, কিছুদিন আগে তার বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ২০১৭ সালের ৬ মার্চ উপজেলার জামিরা গ্রামে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার মামলায় একই গ্রামের মোশারফ হোসেন ফাজুর ছেলে সাইফ আসামি ছিল। তার পিতার নাম মোশারফ হোসেন হওয়ায় সোয়েব আক্তার এ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।
এরপর ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট সোয়েব আক্তারের বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরিতে খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে যোগদান করেন। ৫ মাস ট্রেনিং শেষে চৌগাছা থানার ওই মামলায় আসামি দেখিয়ে সোয়েবকে চাকরিচ্যুত করা হয়। প্রকৃত পক্ষে এ আসামি সোয়েব নয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালিন চৌগাছা থানা এবং বর্তমানে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই শাহিনুর রহমান মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন। একই সাথে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহিনুরের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণসহ চাকরি ফিরে পেতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।