পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরীঃ-
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা প্রশাসন থেকে পুকুর সংস্কারের অনুমতি নিয়ে এক শ্রেণীর মাটি ব্যবসায়ী ফসলী জমির উর্বর অংশ টপসয়েল কেটে নিচ্ছে। এ মাটি ইটভাটা ও খাই ভরাট কাজে ব্যবহার হচ্ছে। গত ২/৩ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাটি কাটার কারণে জমির উর্বরতা হারিয়ে যাচ্ছে। মাটির ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা চালিয়ে থাকে বলে সূত্র জানায়।অভিযোগ রয়েছে, ইউএনও অফিসের এক শ্রেণীর কর্মচারীদের ম্যানেজ করে গোপনে মাটি কাটার অনুমতি নিয়ে থাকে। প্রতিবছর আমন ধান কাটা শেষে মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে পর্যন্ত এ ব্যবসা চলে। চলতি মৌসুমে গত এক সপ্তাহ ধরে মাটি বিক্রয়ের জন্য মাটি কাটার কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার কেলিশহর এলাকার মা ফাতেমার মাজারের পূর্ব পাশ্র্বে সরকারি আবাসন প্রকল্পের সনি্নকটে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড়ী জমির মাটি কেটে বাইরে বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটটি বর্তমানে উক্ত স্থানে ৭টি ডেম্পার লাগিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাটির গাড়ি থেকে মাটি পড়ে পটিয়া কেলিশহর কার্পিটিং সড়ক কাদা ও ধুলাবালিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্ট রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। এমনিতে করোনার ভয়, অন্যদিকে মাটির গাড়ির ধুলাবালির কারণে এ এলাকায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পাহাড়ী জমির মাটির কাটার বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামূল হাসানকে অবগত করা হলে তিনি গত ২২ ডিসেম্বর সরজমিনে এলাকা পরিদর্শন করেন।সাধারণত জমি কেটে প্রজেক্টের পাড় বাধাঁর নিয়ম থাকলে যারা মাটি কাটছে তারা পাড় না বেঁধে মাটি গুলো বিক্রি করে দিচ্ছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে পটিয়ায় শুরু হবে জমজমাট মাটির ব্যবসা। উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, শোভনদন্ডী কচুয়াই, বড়লিয়া, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ফসলী জমির মাটি কেটে ইটভাটা, কাই ভরাট, ভিটিবাড়ি ভরাট কাজে ব্যবহার করা হয়। ১৫/২০ টি গ্রুপের একটি মাটি কাটা সিন্ডিকেট প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার মাটির ব্যবসা চালিয়ে থাকে। থানা-পুলিশও প্রশাসনের কতিপয় লোক এ ব্যবসা থেকে মোটা অংকের টাকার একটি ভাগ পায় বলে সূত্র জানায়। এছাড়াও জলধারা আইন লঙ্ঘন হচ্ছে। কৃষি জমির পরিমান কমছে কতৃপক্ষের সে দিকে দৃষ্টি নেই বললে চলে।পরিবেশ অধিদপ্তর নিরব ভূমিকা পালন করেছে বলে জনগণের অভিযোগ। পটিয়া উপজেলার প্রায়
জায়গায় মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে বাড়িঘর দালান তৈরী করছে মহল বিশেষ। একাজে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। সচেতন মহল অবিলম্বে অভিযান চালানোর দাবি জানান। জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি ফসলী জমির উর্বর মাটি কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে গোপনে এ ব্যবসা চলছে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহাম্মদ বলেন, তিনি গত আগষ্ট মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কেউ এ ব্যবসার কার্যক্রম চালায়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের অবৈধ ব্যবসার খবর পেলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, তিনি চলতি ডিসেম্বর মাসে এই থানায় যোগ দিয়েছেন। থানায় আগে কি হয়েছে তিনি জানেন না। ভবিষ্যতে এ অবৈধ ব্যবসার ব্যাপারে জানা মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছে। চলমান বিস্তারিত আরো ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হবে আমাদের সাথে থাকুন বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার অনুরোধ রইল।