সেলিম চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টারঃ-আওয়ামী পটিয়া পৌরসভার সদস্য মো: আজাদ আসন্ন পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কাউন্সিলর নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক পরিববারের সন্তান মোঃ আজাদ এলাকার একজন তরুণ সমাজকর্মী, পরিচ্ছন্ন ও উদীয়মান রাজনীতিক দলের মনোনয়নের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন,পটিয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে অতীতে আওয়ামী লীগ থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়নি। এবার আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জানান, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আজাদ ১৪ ফেব্রুয়ারী পটিয়া পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে তার এলাকার সমস্যা, সম্ভাবনা ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দলের দুঃসময়ে যারা আওয়ামী লীগকে গালিগালাজ করেছে আজ তারাই নব্য আওয়ামী লীগার সেজে দলের বদনাম কুড়াচ্ছে। নিজ এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরছেন কাউন্সিলর প্রার্থী আজাদ। তিনি বলেন, পটিয়ার মাটি ও মানুষের নেতা জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী এমপি ৩ নং ওয়ার্ডে অনেক উন্নয়ন কাজ করলেও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তার সুফল পায়নি শুধু দলীয় কাউন্সিলরের অভাবে।তিনি বলেন সব ঠিক থাকলে পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে৩ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত এবং হয়রানি মুক্ত সেবা প্রদান মাদক মুক্ত আদর্শ ওয়ার্ড গড়ে তুলতে তিনি নির্বাচনে
অংশ নিয়েছেন।বলেন, কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করার লক্ষ্য নিয়ে বিগত ৫ বছর এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছি। যার যা প্রয়োজন সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। করোনাকালীন সময়ে, ঈদ ও পূজার সময় মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। গত ৫ বছর হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী এমপি উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিতে সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগতভাবেও এলাকার উন্নয়নে রাস্তাঘাট তৈরি, মেরামত ও এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহযোগিতা করেন।এলাকার সমস্যা বিষয়ে জানান, ৩ নং ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা মাদক ও ইয়াবা। অশিক্ষিত নেতৃত্বের কারণে এলাকার মানুষ সালিশ বিচারের নামে বছরের পর বছর হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। তাছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকার অনেক জায়গা পানির নিচে ডুবে যায়। এলাকায় কোন সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র নাই। দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হলে এলাকায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিব।
সামাজিক সমস্যার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ইয়াবা ও কিশোর গ্যাং এই এলাকার প্রধান সমস্যা। আমাদের অনুধাবন করতে হবে হাইব্রিড ও অন্যদল থেকে আসা লোকেরা দলের দুঃসময়ে আবারও দলত্যাগ করবে। এরা হলো সুবিধাবাদী। শীতের মৌসুমী পাখির মতন দলের মনোনয়ন পেলে নির্বাচনের পর এলাকায় ইয়াবা কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৩ নং ওয়ার্ডকে একটি আদর্শ শিক্ষা বান্ধব ওয়ার্ডে পরিণত করবো। আজাদ বলেন, আমার ওয়ার্ডে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঐতিহ্যবাহী ১টি সরকারি ও বেসরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি কলেজ আছে। কারগরি শিক্ষার জন্য একটি কারিগরি বিদ্যালয় থাকলে ভাল হতো।
তরুন রাজনীতিক আজাদ বলেন দলের দুঃসময়ে পটিয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। বিএনপি সরকারের দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে দলের কর্মীদের সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগান।বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা কালে ৩ নং ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষের পাশে থাকায় এলাকার লোকজনও তাকে আগামী নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চায়।সমাজকর্মী ও রাজনীতিক মো আজাদ জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর উন্নয়ন কাজে জড়িত থাকার ৩ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে তিনি মানুষের সমস্যা ও চাহিদা জানতে পেরেছেন।তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে এলাকায় বিশ্বস্ত ও যোগ্য দলীয় কাউন্সিলর প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমার অভিভাবক হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর পরামর্শ ও নির্দেশ মত আমি আমার আমার ওয়ার্ডকে একটি আদর্শ ও মডেল ওয়ার্ডে পরিণত করতে চাই।
বিগত দিনে দলের প্রতি যে ত্যাগ স্বীকার করেছি আশা করি আমার নেতা হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী এমপি, দলের উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ,ক,ম, সামশুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ তা আন্তরিকতার সাথে মূল্যয়ন করে আমাকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনীত করবেন। আমি মনোনয়ন পেয়ে ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হয়ে দলের ও নেতৃবৃন্দের সম্মান অক্ষুন্ন রাখবো। তিনি সকলের সহযোগিতা দোয়া আশীর্বাদ কামনা করেন।