মণিরামপুর মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন

আব্দুল জব্বার, স্টাফ রিপোর্টার।।৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে মণিরামপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দলীয় মেয়র প্রার্থী আলহাজ্জ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান।

প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহামেদ লিটনের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক মোতাহার হোসেনের পরিচালনায় আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের তরুণ নেতা অ্যাড. বশির আহমেদ খান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আমজাদ হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি  দেবাশিষ সরকার বাবু। 

মতবিনিময়ে মেয়র প্রার্থী আলহাজ্জ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত এবং জনগনের উৎসাহে আমি আবারও পৌরবাসীর সেবা করার জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। বিগত ৫টি বছর মেয়র হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি কতটুকু সফল সেটা জাতির বিকেক হিসেবে আপনারা অবগত আছেন। আমি বিশ্বাস করি মিডিয়া যেদিকে থাকে জনমত সেই দিকে যায়। তাই আপনাদের বস্তুনিষ্ট লেখনির মাধ্যমে সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে আমার রাজনৈতিক সাথী, সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্খীসহ সকলের কাছে সহযোগীতা কামনা করছি। নির্বাচিত হতে পারলে মণিরামপুর পৌরসভার যে সমস্ত অসমাপ্ত কাজ রয়েছে এবং পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করছি। 

বর্ষিয়ান রাজনৈতিক নেতা মাহমুদুল হাসান তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বর্ণনান্তে  বলেন, আমি ১৯৭০ সাল থেকে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের গঠিত প্রথম কমিটিতে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, এরপর পর্যায়ক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসভাপতি, আহবায়ক ও বর্তমান পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমি পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা ও পৌরবাসীর আর্শীবাদে এ পৌরসভাকে ১ম শ্রেণিতে উন্নীত করে, আধুনিক পৌরসভার দ্বিতল ভবনের জন্য ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আনার মাধ্যমে টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। পৌরসভার নিজস্ব জমি ছিল ১৫ শতক, কিন্তু আমি পৌর এলাকায় ১ একর ৮২ শতক জমি ক্রয় করেছি। সর্বমোট ৭৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকার উন্নয়ন বরাদ্দের মধ্যে বাস্তবায়ন ও চলমান ৬২ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ১৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমার আমলে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় সরকারী বরাদ্দের পরিমান ৭৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০০ কোটিসহ সর্বমোট ১৭৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে এবং কিছু কাজ চলমান রয়েছে। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে পারলে পৌরসভার আয়তন বৃদ্ধি, পৌর পার্ক, মিনি স্টেডিয়াম নির্মানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার ঘোষনা দেন। পাশাপাশি তিনি প্রেসক্লাবের উন্নয়নে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্থ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ