এস.এম অলিউল্লাহ স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকা মতিঝিল,দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় সাবেক যুবদল নেতার বেপরোয়া চাঁদাবাজী।মতিঝিল ০৯ নং ওয়ার্ডের ফুটপাতগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা নিয়ে বসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।জীবন জীবিকার প্রয়োজনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন।তাদের ব্যবসার লাভের বড় অংশ নিয়ে যায় কিছু চিহ্নিত চাঁদাবাজরা।সাবেক ৩২ নং ওয়ার্ড,বর্তমান ০৯ নং ওয়ার্ড এর যুবলীগ নেতা নূরুল ইসলাম চৌধুরী নূরু চিহ্নিত চাঁদাবাজদের অন্যতম।তিনি ফুটপাতের প্রতিটি দোকান থেকে বিল্লাল,সোহেল,ইব্রাহিম,মনা,
বাবুল সহ ১০/১২ জন লাইন ম্যানের মাধ্যমে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করেন।প্রতিটি ফুটের দোকান থেকে বিভিন্ন চাঁদা,মাটি ভাড়া,নিরাপত্তা, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, ওয়াসার পানি এবং ময়লার নামে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আদায় করেন। সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদের সময় তিনি মতিঝিল, দিলকুশা এলাকার চাঁদাবাজী তার নেতৃত্বে করতেন।বর্তমান কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক তার চাঁদাবাজীর নেতৃত্ব দেন।তিনি সরকারি জায়গা দখল করে পূর্বানী হোটেলের পেছনে কয়েকটি দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়েছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন,কোন ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তখনই তাদের উপর নেমে আসে অত্যাচার।আদমজী সন্স এর জায়গা অবৈধভাবে দখল করলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঐ জায়গা উদ্ধার হয়।চাঁদা আদায়ের জন্য সে সব লাইন ম্যান রয়েছে তারা বলেন,প্রতিদিন চাঁদা আদায়ের টাকা তার কাছে জমা দিলে তিনি তাদের একটা মজুরী দেন।০৯নং ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ পেয়েছিল এসিড মিশন নামের প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে সাব টেন্ডারের মাধ্যমে বর্তমান কাউন্সিলের মধ্যস্থতায় বর্জ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি। সিটি কর্পোরেশনের আইনের ব্যাতয় ঘটিয়ে কাজটি করছেন।সম্প্রতি আদমজী কোর্ট বিল্ডিং এর পুরাতন মালামালের টেন্ডার সিডিউল ড্রপ করার সময় তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে নিজের সিডিউল ড্রপ করেন।অন্য কেউ টেন্ডার ড্রপ করতে এলে তাঁর হাতে হেনস্থা হয়ে ফিরে যান।
সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে ভাড়া দেয়ার বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ( অতিঃ সচিব) এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন,অচিরেই ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নূরুর বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে ০৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন,আমিতো এটা জানিনা,তবে আপনারা সাংবাদিক মানুষ আপনারা তো জানেনই কে কার ছত্রছায়ায়। নূরুর অভিযোগ সম্পর্কে মুঠোফোনে তার নিকট জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তার দুটি নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যায়।
নূরু চৌধুরীর চাঁদাবাজী, টেন্ডার বাজী,এবং অবৈধ সরকারি জমি দখলের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
