হুদা মালী শ্যামনগর প্রতিনিধি: বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলা থেকে মৎস্য রপ্তানি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।মৎস্য রপ্তানিতে দেশের অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জেলাটি। সম্প্রতি বুলবুল,আম্পান ও মাহামারী করোনার কারণে ভাটা পড়ে যায় মৎস্য চাষে,বিপাকে পড়ে ছোট বড় প্রান্তিক মৎস্য চাষীরা।
সরকারি ভাবে কিছু আথিক সহযোগিতার করার লক্ষে কাজ শুরু করে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর,শুরু হয় তালিকা প্রনয়ন। তালিকা প্রনয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নেওয়ার কথা থাকলেও সেটা মানা হয়নি।
জনপ্রতিনিধিদের করা প্রকৃত মৎস্য চাষীদের তালিকা বাদ দিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা নিজের লোক দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তালিকা প্রনয়ন করে টাকা বিতরণ করেছেন এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
এসকল অনিয়ম ঢাকতে কিছু মিডিয়া কমী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যদের তালিকাভুক্ত করেন মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার ও ইউনিয়ান মৎস্য লিপ বিশ্বজিত (বাপির)। অভিযোগে জানাযায়, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে প্রকৃত মৎস্য চাষীদের বাদ দিয়ে যারা কোন প্রকার মৎস্য চাষের সাথে জড়িত না তাদেরকে এই সরকারি বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য কমকতা তুষার মজুমদার ও তার ইউনিয়ন মৎস্য লিপ বিশ্বজিত মন্ডল (বাপি) কে দিয়ে মৎস্য চাষীদের তালিকা প্রনয়ন করে। তালিকা অনুযায়ী গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে শ্রেণীভেদে কিছু সংখ্যক উপকারভোগীকে টাকা প্রদান করে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অধিকাংশ প্রকৃত মৎস্য চাষীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ পশ্চিম ধানখালির কেশব জোয়ারদার,রামপ্রসাদ,হরিনগরের জগদিশ,সামছুল, উত্তর কদমতলার আমেনা বেগম সহ আরো একাধিক ব্যক্তি মৎস্য চাষের সাথে জড়িত না,তারপরও বিশেষ প্রণোদনা থেকে বাদ যাননি তারা। কি ভাবে সরকারি নিয়ম না মেনে টাকা পায়,এমন প্রশ্ন প্রকৃত মৎস্য চাষীদের।
এদিকে প্রকৃত মৎস্য চাষীদের নাম ও ভোটার আইডি কাড জমা নিলেও বঞ্চিত সরকারি প্রণোদনা থেকে।প্রকৃত মৎস্য চাষীদের মধ্যে মজিবুর,মজাহার,আজিজুর রহমান সহ অনেকে বলেন, কাগজ পত্র সহ সব কিছু জমা দিয়েছি এবং কিন্তু আমার টাকা আসিনি তালিকায়ও নাম নেই, শুনলাম যাদের ঘের নেই তারা টাকা পেয়েছে।
এছাড়া তালিকা প্রনয়নে করা হয়েছে স্বজনপৃতি। তালিকা প্রনয়ন কারী বাপি সরদার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়াডের বাসিন্দা হওয়ায় সেই ওয়াড থেকে অধিকাংশ তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয় মুন্সীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল বলেন, মৎস্য চাষীদের তালিকা প্রনয়নে আমাদের অবহিত করার কথা থাকলেও মৎস্য অফিসার আমাকে না জানিয়ে নিজের ইচ্ছা মত প্রকৃত মৎস্য চাষীদের বাদ দিয়ে যারা মৎস্য চাষের সাথে জড়িত না তাদেরকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তালিকা ভুক্ত করে টাকা দিয়েছেন। আমি বিষয়টা উপজেলা নিবাহী কমকতা বরাবর লিখিত অভিযোগ করতেছি।
তালিকা প্রনয়ন কারি বিশ্বজিত বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে সেটা সত্য নয়। আমি ও বুদ্ধো দুইজন মিলে কাগজ পত্র দিয়ে অনলাইনে আবেদন করিয়েছি এছাড়া আর কিছু জানিনা।
অভিযোগের বিষয় শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য কমকতা তুষার মজুমদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সম্পন্ন মিথ্যা।স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে সঠিক তালিকা করা হয়েছে। অর্থ লেনদেনের বিষয় আমার অফিসের কেও জড়িত থাকলে তার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আর যারা মৎস্য চাষের সাথে জড়িত না থেকে টাকা নিয়েছে এমন বিষয় থাকলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।