উক্ত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো দুপুর ১২ টায় কালো ব্যাজ ধারণ, সাড়ে বারোটায় কবর জিয়ারত ,বাদ জোহর দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল এর আয়োজন হয়।কর্মসূচি গুলোতে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, টি জামান নিকেতা, আবুল কালাম আজাদ, প্রদীপ কুমার রায়, আসাদুর রহমান দুলু, সাগর কুমার রায়, এ্যাড: জাকির হোসেন নবাব, শাহাদৎ আলম ঝুনু, আব্দুল খালেক বাবলু, সুলতান মাহমুদ খান রনি, আল রাজি জুয়েল, শেরিন আনোয়ার জর্জিস, নাসরিন রহমান সীমা, আনিছুজ্জামান মিন্টু, মাশরাফি হিরো, আনোয়ার পারভেজ রুবন, রুহুল মোমিন তারিক, এস এম সাজাহান, জহুরুল হক বুলবুল, খালেকুজ্জামান রাজা, রফি নেওয়াজ খান রবীন, আবু সুফিয়ান সফিক, আতিকুর রহমান দুলু, সহিদুল ইসলাম দুলু, সাইফুল ইসলাম বুলবুল, রুমানা আজিজ রিংকি, আলমগীর হোসেন স্বপন, আলতাফুর রহমান মাসুক, গৌতম কুমার দাস, খাদিজা খাতুন শেফালী, ওবাইদুল হাসান ববি, মাফুজুল ইসলাম রাজ, আব্দুস সালাম, সাজেদুর রহমান শাহিন, লাইজিন আরা লীনা, ডালিয়া খাতুন রিক্তা, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, রাশেকুজ্জামান রাজন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
স্মরন সভায় বক্তরা বলেন প্রয়াত জননেতা মমতাজ উদ্দিন ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি সামনে থেকে সকল লড়াই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। ভয়-ভীতি উপক্ষো করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন।
পাকিস্তানী শাষক-শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় মমতাজ উদ্দিন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে দেশের যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করেছেন তিনি। দু:সময়ে দলের নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠন শক্তিশালী করেছেন। বিভিন্ন সরকার নানা প্রলোভন দিয়েও আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
প্রয়োজনে ক্ষমতা থেকে দূরে থেকেছেন। তবু আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করেন নি। আইয়ুব সরকার, সামরিক সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দীর্ঘ ৫০ বছর তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ গনতান্ত্রিক আন্দোলন, লড়াই সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। তিনি বগুড়াবাসীর হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্মের মাধ্যমে। প্রিয় নেতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মো: ফজলুল বারি।