মাগুরা সদর হাসপাতালে অপচিকিৎসায় ভুগছে এক গৃহবধূ

মাগুরা প্রতিনিধি:মাগুরা শহরের ক্লিনিকগুলোর নামে এতদিন অপচিকিৎসার কুখ্যাতি  ছিল জাতীয়ভাবে স্বীকৃত, এখন যোগ হল মাগুরা সরকারি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের নাম। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১,  মাগুরার রূপদো গ্রামের হায়দার আলী মোল্লার স্ত্রী সুমি (২২) মাগুরা সদর হাসপাতাল এসেছিলেন  বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি করার উদ্দেশ্যে। ভর্তি হয়েছিলেন দুপুর দুইটার দিকে, রাত ৯ টার দিকে ব্যথা ওঠে, কর্তব্যরত নার্স সরস্বতী ও রেখা পোদ্দার রোগীকে আশ্বস্ত করেন যে ভয়ের কোন কারণ নেই। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ১:৪০টার দিকে নার্স দুজন মিলে রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান এবং সিজার অপারেশন করে বাচ্চা বের করেন কিন্তু তাদের অদক্ষতা এবং খামখেয়ালীপনায় রোগীর প্রস্রাব ও পায়খানার নাড়ী কেটে এক করে ফেলা হয়। রোগী সুমি জানান " আমার এখন হাতে-পায়ে বল নেই  , কর্তব্যরত ডাক্তার লাইজু বলেছেন তিন মাস পরে আসলে ঠিক করে দিবানে"। রোগী জানাই তার পেটে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে। এবং তার এই ব্যথার কথা নার্সদের জানালে তারা রোগীর প্রতি নমনীয় হওয়ার পরিবর্তে উল্টো রোগীর সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে, আপত্তিকরভাবে বলে "একটু কষ্ট সহ্য করতে পারোনা তাহলে বাচ্চা কেন নাও"।  এদিকে অভিযুক্ত নার্স রেখা পোদ্দার জানান " এ ব্যাপারে আমি দায়ী না, এটা একটা এক্সিডেন্ট"।  অন্যদিকে রোগীর স্বামী হায়দার আলী জানান " আমি চাই এরকম যেন আর কারো সাথে না ঘটে, মানুষ এখানে চিকিৎসার জন্য এসে যদি উল্টো ঝামেলায় পড়ে তাহলে তারা কোথায় যাবে?" 

মাগুরা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: লাইজু জন্য দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ