শ্যামনগর মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রকৃত মৎস্য চাষীদের মানববন্ধন

হুদা মালী, শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার ও তার সহযোগী দালালদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।সোমবার (২২শে ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় মুন্সীগঞ্জ সুন্দরবন প্রেসক্লাব চত্বরে, শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রকৃত প্রান্তিক মৎস্য চাষীরা মানববন্ধন উপস্থিত হন।

মনববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাদা সোনা চিংড়ীর রাজধানী বলা হয় সাতক্ষীরা জেলাকে। চিংড়ী রপ্তানী করে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। সম্প্রতি বুলবুল, আম্পান ও মাহামারী করোনার কারণে উৎপাদন ও রপ্তানীতে ভাটা পড়ে মৎস্য সম্পদে। 
এতে বিপাকে পড়েছে ছোট বড় মৎস্য চাষীরা। সরকারিভাবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। শুরু হয় তালিকা প্রনয়ন।স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তালিকা প্রনয়নের কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলা হয় মানববন্ধনে।জনপ্রতিনিধিদের করা প্রকৃত মৎস্য চাষীদের তালিকা বাদ দেওয়া হয়েছে।প্রতিটি ইউনিয়নে মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার নিজের লোক ও দালালদের দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তালিকা প্রনয়ন করে প্রণোদনার টাকা বিতরণ করা হয়। 

অনৈতিক ভাবে তালিকা করে বাণিজ্য করেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রতিটি ইউনিয়নে মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদারের সহযোগী দালালদের দিয়ে করা তালিকা থেকে বাদ যায়নি শত বিঘার জমি মালিক অরুণ সরদার, সিরাজুল ইসলাম, জমাত মল্লিক, আশরাফুল মল্লিক, সাইনুর আলম ও মিডিয়া কর্মী সহ স্থানীয় ইউপি সদস্যদের নাম। 

শ্যামনগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রকৃত মৎস্য চাষীদের বাদ দিয়ে যারা কোন প্রকার মৎস্য চাষের সাথে জড়িত নন তাদেরকে এ সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলেন, ভোটার আইডি কার্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সব কিছু জমা দিয়েছি কিন্তু আমরা টাকা পাইনি। শুনলাম যাদের ঘের নেই তারা সব টাকা পেয়েছে। এছাড়া স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তালিকা প্রনয়ন করা হয়েছে। 

তালিকা প্রনয়নকারী বিশ্বজিৎ সরদার বাপ্পী মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা হওয়ায়। সেই ওয়ার্ড থেকে অধিকাংশের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়।তালিকা অনুযায়ী ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে শ্রেণিভেদে টাকা প্রদান করেন। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রকৃত মৎস্য চাষীরা। ইতিপূবে মুন্সীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার ও তার সহযোগী বিশ্বজিত বাপ্পী তালিকা প্রনয়নে অনিয়ম তুলে ধরে।শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সমাজ সেবক জামাল হোসেন, মিজানুর রহমান, ফরিদ হোসেন সহ সবস্তরের মানুষ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সঠিক তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে সিমাহীন দূরনীতির চিত্র। এ বিষয় জেলা প্রসাশকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন উপকূলের প্রকৃত প্রান্তিক মৎস্য চাষী ও মৎস্যজীবীরা ।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ