কালীগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জন্ম সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ তদন্তে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক

স্টাফ রিপোর্টারঃ   লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিন্দ্রনাথ বর্মনের বিরুদ্ধে জন্ম সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে তদন্ত কাজ শেষ করেছেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৩ টায় এ তদন্ত কাজ শেষ করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান।ভুক্তভোগীদের জন্ম সনদে অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং ইউপি সদস্যগণ তাদের নিজ নিজ অভিযোগ লিখিত ভাবে পেশ করেন ।

এর আগে চেয়ারম্যান রবিন্দ্রনাথ বর্মনের বিরুদ্ধে জন্ম সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ে ২৬ জানুয়ারি ভুক্তভোগীদের অভিযোগে সংবাদটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয়,

তাতে ও জন্ম সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ কমে না, ১ ফেব্রæয়ারী,পুনরায় আবার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সেই সংবাদ টি প্রকাশ হলে সেই সংবাদ টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে সেই সুত্র ধরে, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও অভিযোগ তদন্ত করেন ও অভিযোগ লিখিত আকারে গ্রহন করেন।।

তদন্ত কর্মকর্তার কাছে স্বাক্ষ্য দেয়া শেষে মনোয়ারা বেগম নামে এক ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের জানান, "চেয়ারম্যান আমার নিকট জন্ম সনদে ৭০০ টাকা নেয়ার পরও আমার চরিত্র নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে আমার বিরুদ্ধে গত ২ ফেব্রæয়ারী) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আমার বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করায় আমার সম্মানহানী হয়েছে। আমি এই চেয়ারম্যানের উপযুক্ত বিচার চাই"।

এসময় জন্ম সনদে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগে চেয়ারম্যানের অপসারণ ও বিচারের দাবি জানায় ভুক্তভোগীরা। চেয়ারম্যান তার অভিযোগ উল্লেখ করেন "ওই মহিলা খুব খারাপ,তিনি স্বামীকে ছেড়ে দীর্ঘদিন ঢাকায় ছিল ইতি মধ্যে তার স্বামী আতিয়ার রহমান ওই মহিলার চিন্তায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।ওই মহিলা তার স্বামীর সাথে থাকে না পর পুরুষের সাথে চলাফেরা করে।

উল্লেখ্যঃ ৪ নং দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান খ. ম শফিকুল আলম মৃত্যুবরন করার পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ইউনিয়নে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে রবীন্দ্রনাথ বর্মন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গত ১৮ নভেম্বর শপথ গ্রহন করেন। শপথ গ্রহনের পর তিনি বিভিন্ন অনিয়মসহ ইউপি সদস্যগনের সাথে খারাপ আচরন করে আসছেন।

চেয়ারম্যান'র এহেন আচারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও করেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা।এ বিষয় জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, জন্ম সনদে অতিরিক্ত ফি নেয়ার ঘটনায় তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ