ডা.এম.এ.মান্নান, টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি:
ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ উপলক্ষে মসজিদে মসজিদে ছিল বিশেষ দোয়ার আয়োজন। করোনা থেকে মুক্তিতে সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। পাশাপাশি দেশ ও মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ভাগ্যরজনী মনে করেন মুসলমানরা। তাই এই রাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা ছিল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের। গুনাহ মাফ ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় রাতভর চলে ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার।
শবেবরাত বা লাইলাতুল বরাতে মসজিদে মসজিদে ছিল বিশেষ দোয়ার আয়োজন। ইসলামী চিন্তাবিদগন জানান, বরকতময় রাতটিতে রয়েছে বিশেষ ফজিলত।
টাংগাইল জেলা নাগরপুর উপজেলার প্রানকেন্দ্রে অবস্হিত ঐতিহ্যবাহী দুয়াজানী কলেজ পাড়া জামে মসজিদে এশার নামাজ আর ইবাদত বন্দেগীর জন্য জিকিরের সহিত দলে দলে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। তারা জানান, সোমবার তারা রোজা রেখেছেন। মঙ্গলবারও নফল রোজা রাখবেন।অনেকেই সারারাত ইবাদত করবেন। ফজরের নামাজের পর বাসায় ফিরবেন।
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাত অতিবাহিত করেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত করেন। পবিত্র শবে বরাত মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়।
এদিকে, মসজিদে নফল নামাজ ইবাদত বন্দেগির পর মুসল্লিরা ভিড় করেন বিভিন্ন কবরস্থানে। বিশেষ এই রাতে আত্মীয়-পরিবারের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের কবরের পাশে দাড়িয়ে রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করেন।