অধ্যক্ষ হাতিয়ে নিলেন লাখ লাখ টাকা, রাজাপুরের জাফরাবাদ মাদ্রাসায় জনবল নিয়োগে ‘দূর্নীতি

মোঃ নাঈম হাসান ঈমন ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ- ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া জাফরাবাদ আলিম মাদ্রাসায় পাঁচটি পদে জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি পদে নিয়োগে কমপক্ষে ৫লাখ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করে বরিশালে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগের প্রাথমিক কাযৃক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এ অভিযোগ খোদ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই'র দিকে। এনিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, আবেদনকারী, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক, উপজেলার সুধীজন ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আবেদনকারী আতিকুর রহমান, সুজন হোসেন ও আসাদুজ্জামান জানান, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রথমবারে একটি জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যার ঝালকাঠিতেও সার্কুলেশন কম এবং নামে মাত্র। পত্রিকার অনলাইন ভার্সনসহ সবকিছুতেই বিজ্ঞপ্তিটি ছিলো দৃশ্যমান। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে " সরকারী বিধি মোতাবেক ঘোষিত বেতন স্কেলে ১ (এক)জন করে আয়া, নিরাপত্তাকর্মী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার আবশ্যক। আবেদনের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল কাগজপত্র ও ২শত টাকার পোস্টাল অর্ডার (অফেরতযোগ্য) দাখিল করিতে হইবে। বিজ্ঞপ্তির ১৫দিনের মধ্যে আবেদন করিতে হইবে। অধ্যক্ষ নারিকেল বাড়িয়া জাফরাবাদ আলিম মাদ্রাসা, পোস্ট- শুক্তাগড়, উপজেলা-রাজাপুর, জেলা- ঝালকাঠি।" ৫টি পদের বিপরীতে প্রায় অর্ধশত আবেদন জমা হলে অধ্যক্ষের গুড়ে বালি পড়ায় ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। পরে ৩০জানুয়ারী একই বিজ্ঞপ্তিটি পত্রিকায় প্রকাশ করেন। যাতে পুনঃনিয়োগ বা পুনঃআবশ্যক কোন বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। অনলাইন ভার্সনেও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। একদিকে প্রচারসংখ্যায় কম এবং অপরদিকে অনলাইন সংস্করণে না দিয়ে "গুছ" প্রক্রিয়ায় আগাতে থাকেন। গত ৪ মার্চ বরিশালে নিয়ে অসদুপায় অবলম্বন করে ৫টি পদে নিয়োগ দিয়ে ২৫লক্ষ টাকার বাণিজ্য করেন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই। আবেদনকারী জানান, আমরা অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে আবেদন নিয়ে গেলে তিনি আবেদন জমা দিতে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করেন। আবেদন জমা দিয়ে রিসিভ করিয়ে নিতে চাইলে তাতেও তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তিতে একই বিজ্ঞপ্তি পুনরায় দিলেও তাতে পুন শব্দটি ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি আগের আবেদনকারীদের পরবর্তি আবেদনকারীদের সাথেই ডাকা হবে বলে জানান। এব্যাপারে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই'র কাছে দ্বিতীয়বারের বিজ্ঞপ্তিতে পুনরায় নেই কেন? আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করার কারণ কি? এবং রাজাপুর ও ঝালকাঠি বাদ দিয়ে বরিশালে নিয়োগ বোর্ড পাতানোর কারণ কি জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে অসুস্থ বলে ফোনটি কেটে দেন। দ্বিতীয়বার ফোন দিলেও তিনি অসুস্থ্যতার কারণ জানিয়ে পুনরায় কেটে দেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি  ও শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হক মৃধা জানান, মাদ্রাসার নিয়োগের ব্যাপারে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন অধ্যক্ষ। তিনিই সব জানেন, আমি এবিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। 



সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ