তানভীর আহমেদ, মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন সরকার কর্তৃক নিশংস ভাবে মানুষ হত্যা, হামলা, নারকীয় তান্ডব, এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।
গতকাল মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের চত্বরে এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি'র সভাপতি মাসুদ অরুন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ অরুন বলেন, ৪০ টাকার চাল এখন ৬০-৬৫ টাকা এবং রোজার মাসে তা ১০০ টাকা হবে। গত একমাসে তেলের দাম ২০০ টাকা বেড়েছে, সকল ভোগ্যপণ্য লাগামহীন, দুর্নীতি কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে।
জনগণ আর করোনাকে ভয় করতে চাই না, এতো অস্থির করোনা কিন্তু মানুষের কাছে ভয়ের কারণ নেই বরং করোনার চেয়ে ভয়ের কারণ এই ভোটার বিহীন সরকার।
যে সরকার জনগণের দায়িত্ব নিতে চাই না, যে সরকার জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করে, যে সরকার ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের উপর দাড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমার বাংলার ছাত্র যুবককে গুলি করে পাখির মত হত্যা করার মত সাহস দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৪ বছর ক্ষমতায় আছেন আমরা এক ফোটা তিস্তার পানি আমরা পাই নাই তাছাড়া ভারত এক তরফা বাণিজ্য করে যাচ্ছে, সেটাকে বন্ধ করা যায় নাই। আর প্রতি নিয়ত বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সিমান্তে বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করে যাচ্ছে। আপনি বিনা পয়সায় ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছেন। পেয়াজের দাম যখন ১ শত-২ শত টাকা হয়ে যায় মোদী সরকার পেঁয়াজ বন্ধ করে দেয়।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা যোগ-বিয়োগ করে দেখলাম একটি মানচিত্র আছে, যে মানচিত্র খেয়ে ফেলার চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশ। একটি পতাকা আছে, লাল সবুজের পতাকা, আমরা যে জিনিষের জন্য সংগ্রাম করেছিলাম মানুষের স্বাধীনতা, আজ সেই স্বাধীনতা নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই।
এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরানো পর্যন্ত জনগণের কোন অধিকার আদায় হবেনা। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ ৫০ বছরের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে, সেই সূবর্ণ জয়ন্তীকে রক্তে লাল করেছেন আপনারা। আমাদের পয়সায় যাদের বেতন হয়, সেই পেটুয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে সবুজের মধ্যে লাল পতাকা রক্তে রঞ্জিত করেছেন।
এই হত্যা কান্ডের সাথে যারা জড়িত, এই তান্ডবের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার করতে হবে। শহীদ পরিবারকে ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। আমাদের চিটাগংগের নেতা শাহাদত হোসেন সহ গত চার দিনে এ দেশের ছাত্র- জনতার নামে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জুলফিকার আলী ভুট্টো, দপ্তর সম্পাদক আবু সুফিয়ান হাবু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় জেলা বিএনপি'র সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।