মিঠুন কুমার রাজ, স্টাফ রিপোর্টারঃ ইন্দুরকানীতে ঘরের বারান্দায় ওড়না পেঁচিয়ে মোঃ হাফিজুল ইসলাম নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। আজ সোমবার সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে পরিবারের লোকজন তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বারান্দায় তাকে ডাকতে আসলে রুমের পাশে আড়ার সাথে ওড়মা পেঁচানো অবস্তায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে নামিয়ে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন ছোটবেলা থেকে তার সাথে জিনের আছড় ছিল। অনেক চেষ্টা করার পরেও তাকে ছাড়াতে পারেনি। পরে সবার পরামর্শ ছেলেকে বিয়ে দিয়েছি কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। হাফিজুলের পরিবারে তার তিনটি বোন থাকলেও তিনি তাদের একমাত্র ভাই। হাফিজুলের মৃত্যুর পর তার ঘর থেকে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। তাতে লেখা দেখা যায়।
তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া তার মরদেহটি যাতে ময়নাতদন্ত না করা হয়, সে জন্যও অনুরোধ করেন। তার কাছে চারজন লোক ৮১ হাজার টাকা পাবে, যা তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে পরিশোধ করতে বাবার প্রতি অনুরোধ রেখে যান। পরিবারের সবার কাছে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন ওই সুইসাইড নোটে।
ঘটনার পর ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্ঘে প্রেরণ করে পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় । হাফিজুল ইসলাম শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সেতুর টোলে অস্থায়ী চাকরি করতেন।
তার চিরকুটের লেখা হুবহুঃ
১. সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
২. দয়া করে আমার লাশটা ময়না তদন্ত করবেন না।
৩. বাবা মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন বিনিময় তাদের কিছুই দিতে পারেনি।
৪. আমার এমন পরিণতি হবে তা কখনো ভাবিনি আপনারা আমার কোনও চাওয়া অপূর্ণ রাখেনি তবুও আমার এমন পরিণতি হলো কেন বাবা-মা আপনারা আমাকে মাফ করে দিয়েন।
৫. বোনেরা আমার ভালো থেকো আমার জন্য দোয়া করো।
৬. বড় ভাইয়া আমাদের পরিবারকে নিজের মতো দেখে রাইখেন ।
আমার গাড়িটা বিক্রি করে টাকাগুলো দিয়ে দিয়েন ।
পাড়েরহাট মামুন জুতার দোকান_ ৪০,০০০
হাসান ভাই_২০০০০
আন্টি._১০০০০
শান্ত__১১০০০।
পরে তাকে দাফন দেন পরিবারের লোকজন।