মাসুদ রানা সিরাজগঞ্জ জেলাপ্রতিনিধিঃ পূর্ব শত্রুতার জেরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের ১০ আনা গ্রæপ বলে খ্যাত হায়দার আলী ও দুলাল খাঁ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ইছামতি গ্রামের একশত পরিবার। এদের অত্যাচারে একশত পরিবার পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ২০১১ সাল থেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১০ আনা গ্রুপ বলে খ্যাত হায়দার আলী ও দুলাল খাঁ বাহিনীর সাথে একই এলাকার ৬ আনা গ্রæপ বলে খ্যাত মৃত আবু সাইদ মাস্টারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধ মিমাংসায় কয়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও গণ্যমাণ্য বক্তি বর্গ বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বলে জানান এলাকাবাসী। এরই জের ধরে এপ্রিল মাসের শুরুতে হায়দার ও দুলাল খাঁ বাহিনীর ক্যাডাররা ৬ আনা গ্রুপের আলামিন ও শফিকে বেধরক মারপিট করে যখম করে ও বাড়ী ঘর ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ একাধিক মামলা দায়ের করে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় হায়দার গং এর মিথ্যা মামলায় মৃত সাইদ খাঁর পুত্র সালাউদ্দিন খাঁন বাচ্চু সহ এলাকা বাসীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় গ্রেফতার হন বাচ্চু। ৩০ মে মামলায় জামিন পেয়ে তার বসত বাড়ীতে আসার সঙ্গে সঙ্গে ১০ আনা গং ক্ষিপ্ত হয়ে ছাইফুুল ইসলাম খান এর বাড়ী সহ বেশ কয়েকটি বাড়ী ঘরে হামলা চালায়। এতে বৈদ্যুতিক মিটার সহ ধান, চাল নিয়ে চলে যায় এমনকি একটি পাওয়ার টিলারও ভাংচুর করে রেখে যায়। এ বিষয়ে ইছামতি গ্রামের মৃত আজিজুর রহমান খানের পুত্র সাইফুল ইসলাম, মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র শফি, মৃত শাহেব আলীর পুত্র ঠান্ডু, মৃত নুর মোহাম্মদ এর পুত্র মুনসুর জানান হায়দার ও দুলাল খা বাহিনীর অত্যাচারে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। আমাদের বাড়ী ঘর সহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তারা বারবার হামলা চালিয়ে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। একাধিক মামলা থাকা সত্তে¡ও তাদের গ্রেফতার না করায় তারা আরোও ভংকর হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ই তাদের বাহিনী দ্বারা আমরা অত্যাচারিত হচ্ছি। আমরা এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই তদন্ত পূর্বক এই অত্যাচারির হাত থেকে আমরা যেন রেহাই পাই। এ ব্যাপারে হায়দার ও দুলাল খাঁর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সে কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)