তরিকুল ইসলাম রূপদিয়া, যশোর।।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি পদে আসতে না পারার জের। নতুন কমিটির মিটিং চলাকালে অতর্কিত হামলা করে অফিস কক্ষের চেয়ার, টেবিল, আলমারি সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ আলী কদর। এ নিয়ে দু'পক্ষের লোকজনের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা।
কচুয়া ইউনিয়নের হোগলাডাংগার শাহ্ বাকের উল্লাহ দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলী কদর যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় করা অভিযোগে উল্লেখ করেন গত ২৬ জুন ২০২১ সোমবার আমার কর্মস্থল হোগলাডাংগা শাহ্ বাখের উল্লাহ দাখিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বসে নতুন কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের সাথে কর্মরত শিক্ষকদের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানটি সংস্কার, প্রশাসনিক সহ বিবিধ বিষয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মিটিং করছিলাম। মিটিংয়ের প্রায় শেষ মুহূর্তে আনুমানিক বেলা ১২ টার দিকে হোগলাডাংগা গ্রামের জাফর বিশ্বাসের ছেলে আকবর আলী (৫০) ও মৃত কায়েম মোল্লার ছেলে, তবিবর রহমান (৬০) এর নেতৃত্বে এলাকার মুজিবুর রহমানের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪০), নওশের আলী বিশ্বাসের ছেলে আসলাম হোসেন (৪৫), ইউসুফ মোল্লার ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৫), আমজেদ সরদারের ছেলে আছির উদ্দিন (৪৮), সাখাওয়াত মোল্লার ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০), রবিউল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (২২), নওশের আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (২৫), ইউসুফ মোল্লার ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৪/১৫ জন ব্যাক্তি লাঠিসোটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে অধ্যক্ষের অফিসে পরিকল্পিতভাবে হুড়মুড়িয়ে প্রবেশ করে। এসময় আমার (অধ্যক্ষ) উপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা ও রড দিয়ে আমাকে প্রহর শুরু করে। এসম মিটিংএ উপস্থিত শিক্ষক মন্ডলী ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ঠেকাতে গেলে জামাল উদ্দিন ও আসলাম হোসেন বসার চেয়ার উঠিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করলে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। এসময় তাদের উপর্যুপরি হামলায় মিটিংয়ে উপস্থিত শিক্ষক কাজী আশরাফুল হক (৫০) সিরাজুল ইসলাম (৫২) আশিকুর রহমান (৪২) হেলাল উদ্দিন (৩৭) কামাল হোসেন (২৪) মারপিটের শিকার হন। হামলাকারিরা এ সময় তিনটি স্টিলের আলমারি ফেলে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র টানাহ্যাঁচড়া করে ছিনিয়ে নেয়। এরপর হামলাকারীরা মিটিংয়ে উপস্থিত সকলকে অধ্যক্ষ রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন সভাপতি বিএম জহুরুল পারভেজ এ প্রতিবদক কে বলেন মূলত একটি পক্ষ মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটিতে আসতে না পারায় এ ধরনের নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার দিন সোমবার আমাদের এই কমিটির মিটিং ছিল। সে কারণেই প্রথম মিটিংয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কার্য সম্পাদন করছিলাম এ সময় আকবর ও তবিবর রহমান এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় লাঠিসোটা লোহার রড দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের মিটিং এ হামলা চালায় এক পর্যায়ে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে উপায়ন্তর না দেখে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুপ্রভাত মন্ডলের সহযোগিতা কামনা করি। তিনি তাৎক্ষণিক এএসআই আজাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে আমাদের উদ্ধার করে। তখন পুলিশের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা সটকে পড়ে। ঘটনার পরেই যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় অধ্যক্ষ আলী কদর সকলের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।