খন্দকার তরিকুল ইসলাম, রূপদিয়া, যশোরঃ রূপদিয়া বাজারের মাদক সেবনও বিক্রয় চক্রটি এখন গ্রামাঞ্চলে, অভিভাবকরা দিশেহারা। কোভিড-১৯ মহামারিতে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় এই চক্রটি এলাকার যুব সমাজকে নিয়ে যাচ্ছে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে। লকডাউনের পাশাপাশি প্রশাসনের এদিকেও নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ এলাকাবাসীর। মাদক নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
"জিরো টলারেন্স" ও "মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" ঘোষনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আবারও চালিয়ে যাচ্ছে মাদক সেবন ও ব্যবসা। রূপদিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা গর্তে থেকে বেরিয়ে ব্যাপক হারে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় গ্রামের মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে অতি কৌশালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদক বেচাকেনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের নজর এড়িয়ে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা। এলাকাবাসীর প্রানের দাবী এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে ধ্বংশ হবে এলাকার যুব সমাজ। সূত্রে আরও জানা যায়, চাউলিয়া রেল লাইনের শহিদুলের চায়ের দোকানের পাশে, গ্যাস লাইনের পাশে মেহেগনী বাগানে ও আমবাগানে পাকা রাস্তার দু ধারদিয়ে বিকাল ৫ টার পর থেকে শুরু হয় এই সমস্ত মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবার মত মাদক ব্যবসা। সমস্ত মাদক নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে উঠতি বয়েসের স্কুল, কলেজ পড়ূয়া শিক্ষার্থীরাও। উৎকণ্ঠার মধ্যে আছে এলাকার অভিভাবকরা। তাদের দাবি অসাধু এ সমস্ত ব্যবসায়িদের র্নিমূল করা গেলে এলাকার অনৈতিক কার্যকলাপ র্নিমূল করা সহজ হবে। সচেতন মহল মনে করেন সমস্ত মাদক সেবনকারীরাই ঘটাচ্ছে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, ইভটিজিং সহ বিভিন্ন অপকর্ম। এছাড়াও এলাকার সুশিল সমাজ বলেন মাদক সেবনের সাথে জড়ানো চক্রটির পিছনে এই সমস্ত দোকানদাররাই বেশী দায়ী। কারণ দোকানে চা খাওয়র নাম করে অতি কৌশলে গাজা ও ইয়াবার মত ছোট বহনকারী মাদক লুকিয়ে এনে বিভিন্ন আস্তানায় বসে সেবন করা অতি সহজ। তাছাড়া গভীর রাত পর্যন্ত যে সমস্ত চায়ের দোকান খোলা থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন এলাকার সচেতন মহল। এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানাযায় মাদক সেবনের স্থান বিভিন্ন গ্রামের স্কুলমাঠ, রেলষ্টেশন, রূপদিয়া কলেজমাঠ, কলাপটি, মুনসেফপুর রাস্তার মোড়, বটতলা, বটতলার পাশে ফুলবাগান, কিছূ চায়ের দোকান, কচুয়া ঘাটকান্দা, চাউলিয়াগেট, চাউলিয়া বস ও ফাইভ স্টার ভাটা, চাউলিয়া দিঘির পাড়ের আশেপাশে সহ বিভিন্ন যায়গায় গড়ে উঠেছে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা। এব্যপারে স্থানীয় প্রশাসনের কড়া নজরদারী একান্ত প্রয়োজন। তাই যশোর পুলিশ সুপারের কাছে এর প্রতিকার ও এলাকার মাদক নির্মুল করা সহ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর "জিরো টলারেন্স" ও "মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" বাস্তবায়নের জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।