জানা গেছে, মোহনগঞ্জের ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০২৩ সালে একশ শয্যায় উন্নীত হয়। এজন্যে ২৯কোটি টাকা ব্যয়ে চমৎকার অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তীব্র জনবল সংকটের কারনে সরকারের সেই প্রচেষ্টা।এখানে কনসালটেন্ট, ডাক্তার, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ৬৩টি পদ শূন্য রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শূন্যপদের কারণে রোগীদের চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। জানা গেছে, হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শারমিন সাত্তার ২০১৪ সাল এবং ডাঃ কাউসার জাহান ঐশী ২০২৩ সাল যোগদানের পর থেকেই রয়েছেন অনুপস্থিত। তারা কোথায় আছেন, স্বাস্থ্য বিভাগ জানে না। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৪ সালে জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে ডাঃ মোঃ আব্দুল হালিম যোগদান করেন। তিনি যেদিন যোগদান করেন সেই দিনই ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেষণে চলে যান। এছাড়াও মেডিকেল অফিসার পদে ডাঃ মোশারফ হোসেন যোগদান করে ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রেষণে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে চলে যান। একই ভাবে ডাঃ এবিএম বাকি বিল্লাহ ২০২২ সালে প্রেষণে জুলাই ফাউন্ডেশনে চলে যান। ফলে কাগজে কলমে তারা মোহনগঞ্জে থাকায় এসব পদ শূন্য দেখানো যাচ্ছে না। এখানে এক্সরে মেশিন থাকলেও নেই কোন টেকনিশিয়ান। একইভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও নেই কোন সনোলজিষ্ট। ফলে এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম এখানে হয় না। এসব কারণে রোগীরা চিকিৎসা সেবাও পরিপূর্ণভাবে পাচ্ছে না। মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোমেনুল ইসলাম জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, শূন্য পদের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে,আশা করি অচিরেই এ সংকট কেটে যাবে।
মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে একশ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যারও জনবল নেই। বর্তমানে ৮জন জুনিয়র কনসালটেন্ট ও ১০জন মেডিকেল অফিসার সহ ৬৩ পদ শূন্য রয়েছে। তদুপরি এখানে কাগজে কলমে কর্মরত ৮জন ডাক্তারের মধ্যে ১১ বছর ধরে একজন এবং ২ বছর ধরে অপর একজন ডাক্তারের খোজ নেই। তাদের কোন হুদিস মিলছে না। অপর দিকে ১১ বছর ধরে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট এবং দুই বছর ধরে অপর একজন মেডিকেল অফিসার প্রেষণে অন্যত্র কাজ করছেন। সবকিছু মিলিয়ে শূন্যতা নিয়েই চলছে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। এতে করে গড়ে প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা গ্রহণকারী ৩ শতাধিক রোগী সুচিকিৎসা পাচ্ছে না।