মোঃ শাকিল আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃকরালগ্রাসী যমুনার অব্যাহত ভাঙনে হারিয়ে যায় সিরাজঞ্জের চৌহালী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স। উপজেলা পরিষদ বিলীনের প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও ভাসমান অবস্থায় চৌহালী সরকারি কলেজের ভবন ব্যাবহার করে চলছে উপজেলা প্রশাসনের সকল কার্যক্রম।
২০১২-১৩ সালে প্রমত্বা যমুনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায় উপজেলার ৩৯টি সরকারি পাকা ভবন৷ উপজেলা পরিষদের প্রসাশনিক ও বাস ভবন সহ ৯টি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস ভবন সহ ৬টি, থানা পুলিশের বাস ভবন সহ ৭টি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ১টি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবন-১টি, টিএনটি'র-১টি, প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের-২টি, কোর্ট ভবন -১টি, বিআরডিবি'র-২টি, সম্মেলন কক্ষ-১টি, ডরমেটারি-১টি, ডাকবাংলো-২টি, অফিসার্স ও কর্মচারি ক্লাব-২টি ও আধাপাকা-৩টি ভবন যমুনা নদীর গর্ভে হারিয়ে যায়।
গতকাল ৩১ মার্চ বৃহুস্পতিবার উপজেলার খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের কোদালিয়া মৌজায় ৬ একর অধিগ্রহণকৃত ভূমি চৌহালী উপজেলা প্রশাসনের কাছে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা'র মোঃ মোহাব্বত আলী সরকার, কানুগো সহ তিন জন সার্ভেয়ার দখল হস্তান্তর করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ভাইস চেয়ারম্যান মোল্লা বাবুল আক্তারের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান( মহিলা)নাসরিন আক্তার,উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি)সাখাওয়াত হোসেন, থানা ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক সভাপতি হযরত আলী মাষ্টার,পিআইও মোহাম্মদ মজনু মিয়া, মহিলা বিষয়ক অফিসার শামিম জাহিদ তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ বিদুৎ,মিজানুর রহমান, আবু দাউদ সরকারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।উল্লেখ্য, ২১০ বর্গ কিলোমিটার আয়োতনে ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চৌহালী উপজেলা। এই উপজেলার প্রথম উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করেন ইউএনও আব্দুল সামাদ।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে এ উপজেলা পরিষদ এর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ফারুক রেজা। দীর্ঘদিন পর নিজস্ব ভূমিতে নতুন করে যাত্রা শুরু করলেন সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কার্যক্রম। পরে জমি পরিদর্শন ও সীমানা নিধারন করেন।