বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ১১টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে ক্ষমার অযোগ্য এই অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মোংলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মোংলা উপজেলা ও পৌর আ'লীগ। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে নেমেছে বলে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, তারা (বিএনপি) হত্যার রাজনীতি করে। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছিলেন। খালেদা জিয়াও হত্যার রাজনীতি করেছেন। শুধু ২১ আগস্ট নয়, বিএনপির পরিচালনায় আমাদের আরও অনেক কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়েছিল।সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, আইন অনুযায়ী দেশের যে কোন নাগরিককে হত্যা প্রচেষ্টা বা হত্যার হুমকি দেওয়া জঘন্য অপরাধ। জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামাত চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তারা দেখেছে নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হারানো সম্ভব নয়। তারা একাধিকবার বঙ্গবন্ধুও কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি-জামাত যদি কোনভাবে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তবে তাদের শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে।
এসময় উপজেলা আ'লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, পৌর আ'লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, পৌর যুবলীগের সভাপতি ও পৌর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আল মামুনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক জনসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, আর ২৭ দফা ১০ দফা নাই। এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে যা যা করার দরকার আমরা তা করব।বক্তারা এ ধরণের ঘৃণিত রাজনীতির অবসান চায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ও হত্যার হুমকি দাতা বিএনপির ওই নেতা ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।