বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের বোয়ালী হতে লেপসিয়া বাজারে যাওয়ার পথে নাওটানা নামক স্থানে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।আহতদের মধ্যে পিকআপ চালক রাজন দেবনাথ (৩৫) মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি মদন উপজেলার সদরের দুলাল দেবনাথের ছেলে। আহত অন্যান্যদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তর গ্রামে তানিম আদনান খান জানান, একটি সভার পোস্টার আনার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেল চালিয়ে মদন যাচ্ছিলাম। সাথে আমার চাচাতো ভাই শরীফ খান ছিল। রাত প্রায় ৯টার দিকে খালিয়াজুরীর নাওটানা এলাকায় পৌছালে হঠাৎ আমাদের পথ রোধ করে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল। ডাকাতরা আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মোটরসাইকেল থামাতে বলে। আরও কয়েকজনের হাতে রামদা ছিল। তখন কিছু বোঝার আগেই আমাদের দুই জনের হাত-পা ও মুখ বেঁধে সড়কের পাশের একটি গর্তে ফেলে রাখে। এসময় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ সকল গাড়ি এভাবে থামিয়ে যাত্রী ও চালককে বেঁধে স্মার্টফোন ও নগদ টাকা পয়সা লুটে নেয়। ওই সময়ে ডাকাতরা অন্তত ৪-৫ লাখ টাকা ও ২০-২৫টি স্মার্টফোন নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে একটি মোটরসাইকেল থামিয়ে দুইজনকে রামদা দিয়ে কুপাতে থাকে ডাকাত দল। তাদের আর্ত চিৎকারে আশপাশের বাড়ি-ঘরের লোকজন লাইট নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। এসব দেখে ডাকাতরা চলে যায়। পরে লোকজন এসে আমাদের সকলের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। আর আহতদের উদ্ধার করে মদনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। হাওরের সড়কে পুলিশের ঢহলের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি। সেইসাথে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।আরেক ভুক্তভোগী শরীফ খান জানায়, ডাকাতরা জামাল নামে একজন ব্যবসায়ীকে খোঁজ করছিল। তাদের কাছে তথ্য ছিল ওই ব্যবসায়ী নাকি ৪০ লাখ টাকা নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। আহতদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন না এলে আমরা প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না। ডাকাতদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি।
খালিয়াজুরীর উপজেলার মৃণাল কান্তি দেব জানান, ওই রাতে ডাকাতরা আমাদের এলাকার এক লোকের থেকে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এত বড় ডাকাতির বিষয়টাকে পুলিশ হালকা করে দেখাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।এ বিষয়ে খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মকবুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। রাতে হাওরের সড়কে একজনের থেকে ১০ টাকা ও একটি বাটন ফোন নিয়ে গেছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।