অভিযুক্ত মাসুম বিল্লাহকে না পেয়ে ছেলের বাবা জাহিদুল ইসলামকে থানায় উঠিয়ে নেন চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ হোসেন। ছেলে হাজির করতে না পারায় বৃদ্ধ জাহিদুল ইসলমকে দুই দিন থানায় আটকে রাখেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পলাতক ছেলে ও মেয়েকে হাজির করে উভয় পরিবারের মধ্যে মীমাংসা করে নেয়।
কিন্তু পালিয়ে যাওয়া ছেলে ও মেয়েকে থানায় হাজির না করলে জাহিদুল ইসলামকে ছাড়তে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন এসআই আশরাফ। এক পর্যায়ে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেন তিনি।এ ছাড়া ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার মসিয়ূরনগর বাজার থেকে ১০টি ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করেন এসআই আশরাফ। এদের মধ্যে দুজন ক্রেতা এবং একজন বিক্রেতা ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে বিক্রেতাকে ছেড়ে দিয়ে ক্রেতা দুজনকে আটক দেখানো হয়। এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার এসআই আশরাফ হোসেন বরখাস্তের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমার কিছু বলার নেই। কারণ পত্রিকায় লিখলে আমার কোনো লাভও নেই। আর ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।” যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন বহিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।