মোহনগঞ্জে নিজ ঘরে প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম

মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) প্রতিরিধিঃ  নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে নিজ ঘরের বারান্দায় পদ্মাবতী দত্ত (৪০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম করেছে চাচা শশুররা।  মোহনগঞ্জ উপজেলার ৩ নং  তেতুলিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ভাটাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পদ্মাবতী দত্ত ওই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী সুকেশ কর'রের স্ত্রীর সাথে এ ঘটনা ঘটে।  ভুক্তভোগী পদ্মাবতী দত্ত জানান, একটি গাছ নিয়ে তর্কবিতর্ক হওয়ার এক পর্যায়ে আমারে গিয়া আমার ঘরের বারান্দার মাধ্যমে ধৈরালাইছে। ধৈরা দেশীয় অন্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমারে মাইরপিট কৈরা অধির,রঞ্জন, রঞ্জিত,অনিল,সুধারানী,ছায়ারানী তারা আমারে ঘরের ভিতরে ধৈরা নিয়ে গিয়ে কয় "দা'ডা কই আন গলাডা পালাইয়া দেই।" এমন অবস্থায় আমি অসহায় আমার স্বামী থাকে প্রাবাসে দুই দেবর তারাও থাকে ঢাকা গার্মেন্সে। আহত অবস্থায় মোহনগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার নিই। পরে থানায় গিয়ে ছয়জনকে আসামী করে মামলা করি। এখন আমার তিন সন্তানসহ আমাকে খুন কইরা লাশ গুম করে ফেলাইবে হুমকির মধ্যে আছি। আমি আইনের সহায়তা এবং আইনের কাছে সঠিক বিচার চাই। 

মামলার আসামীরা হলেন, অধির কর (৪৫),রঞ্জুন কর (৩৮),রঞ্জিত কর (৫৫),অনিল কর (৬০),সুধারানী কর (৩২),ছায়ারানী কর (৩০)। সুনীল কর বলেন,ঘটনার সময় আমি এখানে ছিলাম। এরা সবাই পদ্মাবতিকে তার ঘরের ভিতরে গিয়া পিটনাইছে।অনিল মাস্টার বলেন, যে পুড়ল গাছটি নিয়ে জগড়া সৃষ্টি হয়েছে। গাছটি মুলত তাদের'না। পদ্মাবতি আমার ভাতিজা বউ। এই ঘটনা মিথ্যা।

সরজমিনে বিষটি জানতে গেলে প্রতিনিধির সামনে রঞ্জিত কর পদ্মাবতির দিকে তেরে আসতে দেখা যায়। এমন ভিডিও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার হাতে আছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পদ্মাবতির স্বামী সুকেশ কর সৌদিআরব প্রবাসী। তার স্ত্রী দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকেন।  অধির,রঞ্জুন,রঞ্জিত,অনিল,সুধারানী,ছায়ারানী এরা মারছে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার চাই।  অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বিষয় নিশ্চিত তিনি করেন। তিনি আরও বলেন, তেতুলিয়া ইউনিয়নের ভিট অফিসার এস আই রবিউলকে বিষয়টি যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নির্দেশ প্রধান করা হয়েছে। 

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ