রাজশাহী ব্যুরো: নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে অনিয়ম ও ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন রোগীরা।স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনিয়মের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।ডাক্তার যেন সোনার হরিণ হয়ে পড়েছে। একবার দেখা মিললেও, আবার কখন দেখা হবে জানেন না রোগীরা। এতে করে চড়ম ভোগান্তিতে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।কদিন আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার পদ চলে যাওয়া ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম এখানে এসে যোগদেন মেডিকেল অফিসার হিসাবে।তিনি নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ একাধিক কর্মকর্তার। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি তিনটি উপজেলার মধ্যস্থল হওয়ায় প্রতিদিন শতশত রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দালালদের সিন্ডিকেটের কারণে চরম বিপাকে পড়ছে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ অসহায় গরীব রোগীরা।
সরেজমিনে গেলে দেখাও মেলে এর সত্যতা। যদিও এসব নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যাথা নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।যারা কর্মরত আছেন তারাও প্রায় দিন দুপুর ১২টার পর আর রোগী দেখছেন না। কেউ কেউ কর্মরত অবস্থায় সেবা দিচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে। এছাড়া প্রাইভেট ক্লিনিকের দালাল ও ওষুধ বিক্রির প্রতিনিধিদের টানাহেঁচড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন রোগীরা।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া একাধিক রোগীর অভিযোগ, প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয় না ওয়ার্ডগুলো। রোগীর বিছানার নিচে এবং আশপাশে বিভিন্ন রকম আবর্জনার দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। রোগীর সমস্যার কথা বলতে গেলে কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের শিকারসহ রয়েছে আরও অনেক অভিযোগ।মহিলা ওয়ার্ডের রোগীর সাথে আসা নিপা বেগম বলেন, খাবারের মান এখন মোটামুটি কিন্তু ঔষুধ বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।অনিয়মের প্রতিবাদ করলে বাহিরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে বলে এখানের স্টাফরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী জানান, কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে কর্মচারীরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বলেন-স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা এখানে যা করবে তাই তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না।তার ব্যবহার এতোটাই খারাপ যে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ তাঁর কাছে যায় না।সে দীর্ঘ দিন ধরে এখানে আছে একসাথে চাকরি করায় দায় হয়ে পড়েছে। আরেক কর্মকর্তা বলেন- অনিয়ম গুলো দেখেও না দেখার ভান করে থাকতে হয়। অফিসের পিয়নকে দিয়ে তাঁর বাসার কাজ করান।যে গাছ গুলোর জন্য মশা মাছির উপদ্রব হয় সেই কলা গাছ কোয়ার্টারের আশেপাশে লাগিয়ে রেখেছে। এতে মশার উপদ্রব বেড়েছে।আমার চাকুরী আর বেশি দিন নেই। তাই অনিয়ম হলেও দেখে যায়। এ সকল বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ রোকসানা হ্যাপি কে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।