মোঃ মুরাদ হোসেন ,বসুন্দিয়া (যশোর) প্রতিনিধি: যশোর সদরের বসুন্দিয়ার বানিয়ারগাতি গ্রামের মাদক কারবারী জহুরুল,শহিদুল গং অত্যাচার ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে গ্রাম ছাড়া করেছে আব্দুর রাজ্জাকের পুরো পরিবারকে। থানায় মামলা করলেও নীরব প্রশাসন। প্রাণভয়ে পালিয়ে দিন কাটাচ্ছে পরিবারের প্রায় এক ডজন মানুষ। মাদক কারবারি থেকে নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক জানান, সিংগিয়া রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রেলের জমি বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন তার পরিবার। তিনি পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মুড়ি ভাজা, চিড়ার মোয়া তৈরি, চিপস, পটেটো, পপকন, মুড়ির মোয়া তৈরির ছোট্ট কারখানা চালিয়ে এবং দুই ছেলের দিনমজুর কাজের টাকায় চলত পুরো সংসার। নিকটতম প্রতিবেশী নজরুল বয়স কত (৫০) তার ছেলে জহুরুল (২০) ও শহিদুল (২১) মাদক দ্রব্য কারবারি করে আসছে। আব্দুর রাজ্জাকের ঘরে মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ করে রাখার প্রস্তাব দেয় জহুরুল গং, এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন মাত্রায় পরিবারটির উপর অত্যাচার ও হুমকিধামকি শুরু হয়। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর যাবত পরিবারের সকলের উপর অত্যাচার এবং মটর ও ব্যবসায়িক মালামাল চুরি করে ভয় ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখা হয়। স্থানীয় ও প্রতিবেশীদের বিষয়গুলো জানানোর পরও কেউ কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন আমার বাড়িতে প্রকাশ্যে বহিরাগতদের এনে মাদক সেবন করা হয়। ঘর থেকে নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি করে নেওয়া হয়। তার ব্যবসায়িক সকল কর্মকান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। পিস্তল ও রামদার ভয় দেখিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া পুতনি রিতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রকাশ্য হুমকি দেয়। উপায়ান্তর না দেখে আব্দুর রাজ্জাক নিজেদের বাঁচাতে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি তারিখে জহুরুলদের বিরুদ্ধে নেশা দ্রব্য বিক্রি খুন জখমের হুমকি এবং চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন। পুলিশের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না থাকায় মাদক বিক্রেতা জহুরুল ও শহিদুলরা, বহাল তবিয়তে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে বিরত থাকতে এবং মাদক নির্মূলে কারবারীদের শাস্তি নিশ্চিত ও আমাদের নিরাপত্তার দাবি করছি।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
