কেশবপুরে শীতের আগমনীতে কুমড়া বড়ি দিতে ব্যস্ত গৃহিণীরা


কুমড়া বড়ির কাজে ব্যস্ত গৃহিণী রা

মোল্লা আব্দুস সাত্তার কেশবপুর যশোর:- শীতকালের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সুস্বাদু ও পরিচিতি খাবার কুমড়া বড়ি। তরকারির সাথে এই কুমড়া বড়ি রান্না করে খাওয়ার প্রচলন বহু বছরের। শীতের মৌসুম এলেই কেশবপুরের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে শুরু হয় কুমড়া বড়ি তৈরি করার মহা উৎসব। শীতকালে দেখা যায় প্রতিটা বাড়িতেই মাশ কলাই এর ডালের সাথে চাল কুমড়া দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে বড়ি তৈরি করা হয়। শীতের সন্ধায় শুরুহয় বড়ি তৈরীর প্রথম কাজ। কলাই ভিজানো কুমড়া কেরানো পানি ঝরানো সহ ননান প্রক্রিয়া। এরপর কাক ডাকা ভোরে মহিলারা কলাইয়ের সাথে কুমড়া মিশায়ে ঢেকি অথবা মেশিনের সাহায্যে পিষে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় খামি। কুমড়ার এই খামি কেউ কেউ নিজেরা কেউবা পাড়ার সবায় মিলে একসাথে তৈরী করে সুস্বাদু কুমড়ার বড়ি।  
কুমড়ার বড়ি তৈরির প্রধান উপকরণ মাশকলাইয়ের ডাল আর চাল কুমড়া।বাজারে ১কেজি মাশ কলাই ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা আর চাল কুমড়া কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় চাল কুমড়া প্রতি পিস ৮০  থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।  এক সময় কুমড়ার খামি তৈরি করা হতো ঢেঁকি বা শিলবাটায় এখন আধুনিকতার ছোয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মেশিনের মাধ্যমে কুমড়ার মিশ্রণ তৈরি করা হয়। মাঠ, বাড়ি রাঙ্গিনা, বা খোলা জায়গায়, ঘরের ছাদে যেখানে সূর্যের তাপ বেশি থাকে সেখানেই ভোর থেকে শুরু হয় বড়ি বসানোর কাজ।বড়ি বসানোর পর দুই তিন দিন টানা রোদে শুকানো হয় কোন কোন ক্ষেত্রে ৫-৬ দিনও রোদ্রে শুকানো হয়। এরপর ঘরের বিভিন্ন পাত্রে সংরক্ষণ করা হয় যা বছরের ১২ মাসে খাদ্যের সাথে ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে এই কুমড়ার বড়ি তৈরি ও বিক্রি করে থাকেন। 
উপজেলার কাঁস্তা গ্রামের গৃহিণী আমেনা বেগম বলেন কুমড়া বড়ি দেওয়াবিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে উপঢৌকন হিসাবে পাঠানো হয় এ যেন আত্মীয়তার একটা সেতু বন্ধনের মাধ্যম।  গৃহিণীদের জন্য শীতকালীন একটা যেন রুটিন মাফিক কাজ। শীতকালে বিভিন্ন সবজির সাথে রান্না করা এ বড়ি যেন অনন্য সাধ বয়ে আনে। বড়ি ছাড়া যেন কিছু সবজির সাধ আশেনা। উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের হালিমা বেগম বলেন কুমড়ার বড়ি শীতকালে না দিতে পারলে যেন মনটা ভালো থাকে না কারণ মাছ গোস্ত না থাকলে সবজির সঙ্গে বড়ি সাধযেন তুলনা হীন। কেশবপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী অলক সাহা বলেন এবার মাসকলায়ের চাহিদা অনেক বেশি দামও নাগালের মধ্যে থাকায় বিক্রিয় বেশি হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ