জাপানে সিলভার অ্যাওয়ার্ড জিতলো বগুড়ার সুহৃদ মুমু
মোঃ সবুজ মিয়া বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার উপশহরের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ও সমকাল সুহৃদ সদস্য জে. মুমু সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত থার্ড মেহুডো ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার জিতেছেন। মুমুর আলোকচিত্রটির নাম ছিল 'শতবর্ষী আনন্দ'। আলোকচিত্রী জে. মুমু বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জে. মুমু জানান, তার বাবা একজন ব্যবসায়ি। মা শিক্ষক। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ঈদের ছুটি ও করোনায় লকডাউনের মধ্যে তিনি গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যান। ছবিটি মুঠোফোনে ধারণ করেছিলেন। ছবির চরিত্র গাইবান্ধা জেলার জুমারবাড়ি এলাকার প্রায় শতবর্ষী এক দরিদ্র নারী। দারিদ্রতার কষাঘাতে জরাজীর্ণ হয়েও তিনি করোনাময় পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চান। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বেঁচে থাকার আকাঙ্খা ও আনন্দকে ছবিটিতে ধারণ করতে চেয়েছিল শখের বসে। পরে এই শখের ছবিটিই বাংলাদেশের জন্য এতোবড় সম্মান বয়ে আনবে তা কখনো ভাবিনি'
সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী থার্ড মেহুডো ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ফেস্টিভ্যালে বেস্ট ফটোগ্রাফি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে জে. মুমুর 'শতবর্ষী আনন্দ'। এজন্য মুমুকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে উৎসবে অংশ নেয়া ৭০টি দেশের ৭১১ জন প্রতিযোগির সাথে।
উৎসব কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে প্রদত্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাপানের কিউশু ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন স্কয়ারে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। অতিমারির কারণে সকল অংশগ্রহণকারী এবং অতিথিদের অনুপস্থিতির জন্য ৭ জানুয়ারি ভার্চুয়াল অ্যাওয়ার্ড সিরোমনি অনুষ্ঠিত হয়।
ইতোপূর্বে ছবিটি রোমানিয়ার স্যাপিক্সেল ইন্টারন্যাশনাল ফটো কনটেস্ট ২০২০ এবং যুক্তরাজ্যের হান্টিংটন বিচ কালচারাল সিনেমা শোকেস এর ফটোগ্রাফি বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে।
স্বর্ণজয়ী শুটার শারমিন আক্তার হলেন জেকেএফ এর এম্বাস্যাডর ও সমন্বয়ক
চীনে বাংলাদেশি চিকিৎসকের বেল্ট এন্ড রোড ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন
প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে 'বেল্ট এন্ড রোড ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড' পেলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক মিসবাউল ফেরদৌস। ডাঃ মিসবাউল ফেরদৌস চীনের শ্যানডং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। আত্মমানবতার সেবায় বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশি এই চিকিৎসক। সেই সাথে তিনি পেয়েছেন আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতিও। ডাঃ মিসবাউল বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্তান।
করোনা প্রাদুর্ভাবের সময়ে চীনের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় সম্মানসূচক এ পুরষ্কার প্রদান করা হয় ডাঃ মিসবাউল ফেরদৌসকে। গত শুক্রবার ১৮.১২.২০২০ তারিখের সন্ধ্যায় জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্র বেইজিং-এ 'চায়না কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ ২০২০' শীর্ষক সম্বেলনে তার হাতে তুলে দেয়া হয় এ পুরষ্কার।
বছরের শুরুর দিকে করোনা মহামারী চীনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায়, পুরো চীন জুড়ে মেডিকেল সরঞ্জামাদি সংকট দেখা দেয়। এসময় সৌদি আরবে 'আইএমসি লাইভ-৮' সম্মেলনে ছিলেন বেইজিংয়ের ফুওয়াই হাসপাতালে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসক ডাঃ মিসবাউল ফেরদৌস। ডাঃ মিসবাউল ওইসময় নিজস্ব অর্থায়নে সৌদি আরবের প্রায় ১৪ টি মেডিকেল স্টোর থেকে মাস্ক সংগ্রহ করে বেইজিং এ ফিরে আসেন। এগুলো তিনি চীনের বেইজিং, শ্যানডং, ছংছিং, কুনমিং, নিংশিয়া, সিচুয়ান ও আনহুই প্রদেশে বিতরণ করেছিলেন। এরপরে তিনি পর্যায়ক্রমে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ থেকে আরো ৩২ হাজার মাস্ক সরবারহ করে চীনের উহান, সাংহাই, শেনচেন ও ছংছিং প্রদেশে বিতরণ করেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোর জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। দেশের সংকটকালীন মুহূর্তে চীনের প্রথম সারির তিনটি সংগঠন ও কয়েকজন চীনা ডাক্তারের সহযোগিতায় সুরক্ষা স্যুট, চশমা, ফেস-শিল্ড, সার্জিক্যাল মাস্ক ও এন-৯৪ মাস্ক চীন থেকে পাঠিয়েছিলেন ডাঃ মিসবাউল। যেগুলো ডাঃ মিসবাউলের দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ডাঃ মিসবাউল এশিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি (ASC) এর সহ-সভাপতি। এছাড়াও তিনি এবছর এশিয়া প্যাসিফিক প্রাইমারি হেল্থ অ্যাসোসিয়েশন (APPHA) এর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৬ বছরের জন্য নিযুক্ত হয়েছেন।
অজয় কান্তি মন্ডল
ফুজিয়ান, চীন।