কুষ্টয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের ব্যবসায়ীক পাটনারের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানাগেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মেহেরপুর উপজেলার গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের মরজেম হোসেন এর ছেলে মামুন জানান,আমি দির্ঘদিন যাবত অস্টিয়া দেশে থাকি এব আমি সেই দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছি।
আমার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের ঝাউদিয়া উত্তর পাড়া গ্রামে বড় বোনের বিয়ে হয়েছে সেই সুবাদে মাসুদ রুমি ও রবিউল ইসলাম আমার আত্মীয়।তারা আমাকে যুক্তি দেন আপনি তো বাহিরে আছেন, আমাদের এখানে মুরগী ও গরুর খামার করলে ব্যপক লাভোবান হওয়া যাবে। যদি আপনি চান তাহলে আপনি টাকা দিলে খামার তৈরি করবো, আমরা দেখাশোনা করবো কিন্তু খামারে যে লাভ হবে তা জন প্রতি ২৫% হারে ভাগ হবে ।
তাদের কথা মত আমি খামারে যে অর্থ ব্যয় হয়, তার ৮০ পারসেন্ট আমি দিয়েছি। খামার তৈরির পরে আমি দেশে ছুটিতে এসে বুঝতে পারি আমার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তারা বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বসে সমাধানের জন্য আশ্বাসদেন।
আমি তাদের কথা মত গত ২৩/৮/২০ ইং তারিখে দৌলতপুরে আসি। আমি দৌলতপুর থেকে রাত অনুমানিক ১০: ৩০ মিনিটের সময় ঝাউদিয়া উত্তরপাড়ায় যাওয়ার সময় আহসান নগর কারীগরী কলেজের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওত পেতে থাকা মাসুদ রুমি ও রবিউল ইসলাম সহ আর ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তি আমার গাড়ীর গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে রড় লাঠি দিয়ে মারপিট করে এবং আমার গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমি গ্যান হারিয়ে ফেললে তারা মনে করেন আমার মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে পরে রাস্তার পাশে ধান খেতে ফেলে রেখে চলে যায়।
এ বিষয়ে আহত মামুনের বোন জানান,আমার ভাই মামুনের ফিরতে দেরি হলে আমি তার মুঠোফোনে ফোন দিতে থাকি এক পর্যায়ে এক জন অপরিচিত ব্যক্তি ফোন ধরে বলেন এই ফোন ব্যবহার কারি ব্যক্তি আপনার কে হয়।
আমি যখন বলি এটা আমার ভাই তখন তারা জানান আপনার ভাই মরে পড়ে আছে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে ঘটনা স্থান থেকে পুলিশ ও আমার মামুন কে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করি পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফাড করেন। আমার ভাই বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে। বিষয়টি তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে মাসুদ রুমি র কাছে জানতে চাইলে তিনি পাটনারে ব্যবসার কথা স্বীকার করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে যে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়ে সেই বিষয়ে তিনি জানান,আমার দৌলতপুরে বসা ছিলাম আমরা আসার আগেই মামুন চলে আসে আমরা তাকে মারি নাই।
এমন অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার কারী প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাস্তা দিয়ে একটি লোক যাওয়া সময় হঠাৎ চিৎকার দিতে থাকে আপনারা গ্রাম বাসি এগিয়ে আসেন এখানে এক ব্যক্তি আহত অবস্থাতে পড়ে আছে। আমরা ছুটে এসে তাকে কাদামাখা অবস্থাতে উদ্ধার করে দেখি দার গলাতে দড়ি দিয়ে ফাঁস দেওয়া। তাড়াতাড়ি করে আমরা দড়িটা হাসুয়া দিয়ে কেটে দিই। পরে পুলিশ ও আত্মীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ এস আই রোকন জানান,আমি মামুনকে ঘটনা স্থান থেকে উদ্ধার করি। তারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
