হাসান সাদী,নাগরপুর প্রতিনিধিঃনাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কোকাদাইর গ্রাম সহ ৬ টি গ্রামের প্রায় ৯ হাজার মানুষের জন্য যাতায়াতের প্রধান রাস্তা আজ বন্যার পানিতে ভেংগে চরম বেহাল দশা যার কারনে এখানকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এত ব্যস্ত রাস্তাটি স্হায়ীভাবে সংস্কার না হওয়ায় সকল প্রকার যানবাহন ও মানুষের চলাফেরায় অনুপযোগী হয়ে পরেছে। রিক্সা,ভ্যান,ঘোড়ার গাড়ি,সিএনজি ইজিবাইক সাইকেল চলাচল বন্ধ সহ পায়ে হাঁটাও চলাচল অচল হয়েছে ফলে ইমাজেন্সিতে কোন রোগী নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স সহ জরুরী চিকিৎসার জন্য কোথাও নেওয়া যায় না বিপাকে পড়তে হয় রোগীর পরিবারকে। এই রাস্তা দিয়ে কোকাদাইর, সিংজোড়া,তেহালিয়া,চৌবাড়িয়া,পচাসারটিয়া,গোপিনাথপুর সহ ৬ গ্রামের প্রায় ৯০০০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে।এই রাস্তা দিয়ে ৩ টা মসজিদে মুসল্লী নামাজে যায়,এছাড়াও ১ টা প্রাইমারি স্কুল,২ টা উচ্চ বিদ্যালয়, ১টা কলেজ আছে এবং বাজারে নিয়মিত মানুষ যাতায়াত করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সহবতপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কোকাদাইর দক্ষিণ পাড়া হতে বাটরা বাজার রোডের চলাচল রাস্তাটি বন্যার পানিতে ভেংগে অবস্থা এতোই ভয়াবহ হয়েছে যা লেখার ভাষার মাধ্যমে বুঝানো সম্ভব না।এখানকার মানুষের প্রানের দাবি অথাৎ প্রধান দাবি এই রাস্তাটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে যেন বিশেষ বাজেট এর মাধ্যমে ইটের সলিং দিয়ে স্হায়ীভাবে মেরামত করা দেওয়া হয়।
স্হানীয় বাসিন্দা, কোকাদাইর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জ্বনাব আব্দুল মালেক বলেন,এই রাস্তাটি প্রতি বছর বন্যা আসলেই ভেংগে যায় ফলে সকল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমি স্হানীয় সরকারের কাছে জোর দাবি করছি অতিদ্রত এই রাস্তাটি সংস্কার করে দেওয়ার জন্য ।
এলাকার এক ছাত্র মো.তোফায়েল আহম্মেদ জানান,আগে রাস্তাটি চলাচলের জন্য অনেকটা উপযোগী ছিল কিন্তুু বন্যা আসার সাথে পানির স্রোতে রাস্তাটি ভেংগে এক মিনি পুকুরের রুপ নিয়েছে ফলে অসুস্থ রোগী দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়। রাস্তা ভাংগার কারণে কোনো গাড়ী পাওয়া যায় না। এছাড়াও রাস্তা খারাপের কারণে বিশেষ করে কৃষকরা সার,বীজসহ যেকোনো কৃষি উপকরণ আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও তাদের অধিক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।তিনি আরোও জানান এই রাস্তাটি যেন অতিদ্রত ইটের সোলিং দিয়ে মেরামত করা হয়।
