মোঃ রবিউল হোসাইন সবুজ, (লাকসাম) প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ন্যায় কুমিল্লা লাকসাম জেঁকে বসেছে কনকনে শীত ! গত তিন ধরে একনাগারে শীতের প্রকোপে অস্থির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীত বাড়ার সাথে সাথে পৌর-শহরে ফুটপাতগুলোতে জমে উঠেছে কে শীতবস্ত্র কেনাকাটার হিড়িক।ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে লাকসাম পৌর- শহরের ফুটপাত ও পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
কুমিল্লা জেলা লাকসাম উপজেলা দৌলতগঞ্জ বাজারে ফুটপাত গুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানে সোয়েটার, মাফলার, কান টুপি, মাথার টুপি, হাত মোজা, পায়ের মোজা, জ্যাকেট, প্যান্ট, হুডি, শাল, চাদর, কাশ্মীরি শাল, হরেকরকম গেঞ্জিসহ বাহারি ডিজাইনের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। তরুণীদের জন্য রয়েছে হাল আমলের স্টাইলিশ নকশার শীতের কাপড়।। টানা তিন দিন যাবৎ শৈত্য প্রবাহ বাড়ার ফলে মধ্যে স্তর ও নিম্ন স্থরের লোকজন এসব দোকানে শীতের কাপড় কেনার জন্য ভিড় করছে । শুধু নিম্ন ও মধ্যে স্তরের লোকজনই নয় বরং উচ্চবিত্ত স্তর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনও ভিড় করছে ওই ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকান গুলোতে। মহা ধুমধামের সাথে ক্রয়-বিক্রয় চলছে ওই ফুটপাত গুলোতে।
উপজেলা পৌর-শহরে ফুটপাতে শীত বস্ত্র বিক্রেতা আব্দুল আলিমের সাথে কথা হলে সে জানায়, গত কয়েকদিন যাবৎ দোকান নিয়ে বসে থাকার পরেও দেখা মেলেনি কোন ক্রেতার। কিন্তু বর্তমান সময়ে শীতের প্রকোপ বাড়ার ফলে শীতবস্ত্র বিক্রয় হচ্ছে অন্যান্য দিনের তুলনায় প্রায় ৩ থেকে ৪ গুন।
শীত বস্ত্র কিনতে আসা আকাশ চন্দ্র সাহা জানায়, "বর্তমানে একটি শীতের কাপড় মার্কেটের ভালো কোন দোকানে কিনতে গেলে সর্বনিম্ন টাকা লাগে ৫' শ। কিন্তু এই ফুটপাতে অনেক সময় ভালো মানের কাপড় কম দামে পাওয়া যায় এজন্য এসেছি কমদামে নিজের পছন্দমত শীতবস্ত্র সংগ্রহ করার জন্য"।
শীতের প্রকোপ আরো বাড়লে এই দোকানদার গুলো প্রায় কেনা দামের চেয়ে ৩ থেকে ৪ গুন মুনাফা অর্জন করতে পারে বলে জানা গেছে।
