বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
উক্ত মানববন্ধনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন ৯০’ এর রাজপথ কাপানো নেতা, সাবেক ভিপি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন ও ছাত্রনেতা জি.এম. ছানাউল্লাহ। এছাড়াও উক্ত মানববন্ধনে দল, মত, নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ একাত্নতা পোষণ করে সকল ধর্ষণকারী হিংস্র জানোয়ারগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসির দাবি করেছেন। আর জেনো কোনো মা বোন ধর্ষণের স্বীকার না হয় সেদিনে সকল শ্রেণীর পেশার মানুষকে সোচ্চার থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের ভোলা সদরের যুগ্ম আহবায়ক সাকিব, গিয়াসউদ্দিন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন, শরীফ এবং চরফ্যাশন উপজেলার সদস্য সচিব অন্তর ও জেলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসা নেতা ও কর্মী বৃন্দ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের মা বোনেরা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল তখন আমরা পরাধীন ছিলাম। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্ষণ করে পাড় পেয়ে যাওয়া এটা বিচারহীনতার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা চাচ্ছি, ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হোক। ধর্ষণের শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হলেই সমাজ ধর্ষণমুক্ত হবে। অন্যথা কোনোভাবেই সমাজকে ধর্ষণমুক্ত রাখা যাবে না।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা। ধর্ষণের বিচার দ্রুত কার্যকর করার জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা এবং ১০০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করাসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেণ।
মানববন্ধনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক মো. আরিফ হোসেন।