সিরাজগঞ্জ জেলাপ্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ফুলকোচা গ্রামে জোড় পূর্বক জমি দখল ও গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেন ফুলকোচা গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী মোছাঃ লিপি বেগম (৩৬) তিনি যানান, ১৩ই জানুয়ারী বুধবার সকাল ৮টায় ফুলকোচা গ্রামের বালিঘুগরি মৌজার আরএস খতিয়ান-৩০৬, ৫৫৩, যাহার আর এস দাগ নং- ২০০০, ২০০১, ২০০২ মোট ৪৪ শতক জমি বে-দখল দেওয়ার চেষ্টা করছে একুই গ্রামের মৃত: দেলবার সেখ এর ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), সুলতান (৪০), জাহিদুল ইসলাম(৩৭) তিনি আরও বলেন এটা আমার বাবার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি, আমার বাবা মারা যাবার সময় আমার একটি ভাই রেখে যান সেই জমি জমা দেখা শোনা করত। কিন্তু গত তিন মাস আগে আমার ভাই এর অকাল মৃত্যু হয় তাই জাহাঙ্গীর গং আমাদের সম্পত্তি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ গ্রামের মাতব্বরগণ জমির কাগজপত্র দেখে একটি শালীশি বৈঠক করে সার্বেয়ার দ্বারা জমি জমা ভাগ বাটোয়ারা করে দেন। জাহাঙ্গীর গং শালীশি বৈঠক মেনে নিয়ে আবার জোড় পূর্বক বে-আইনী জনতাবদ্ধে উক্ত জমিতে অনাধিকারে প্রবেশ করিয়া গাছের বাগান কেটে ফেলে গত ১৩ই জানুয়ারী বুধবার সকাল ৮টায় ১২ টি মেহুগনি ও ১৮ টি লম্বু গাছ কেটে নিয়ে যায় যাহার আনুমানিক মূল্য ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা। মাতব্বরদের পায়ে পায়ে ঘুরে কোন সূরহা না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন বলে তিনি জানান। এই বিষয়ের একুই গ্রামের মাতব্বর ও ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়গুলো আমি জানি তবে কিছুদিন আগে যে শালিশী বৈঠক হয়েছে ওই বৈঠকে আমি ছিলাম না চেয়ারম্যান সহ গ্রামের মাতব্বরগণ মিমাংস করেছে শুনেছি। কিন্তু গাছ কাটার বিষয়টা যে ঘটেছে এটা খুবই দুঃখজনক। ওই শালীশি বৈঠকে যারা ছিলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, আজগর আলী, লুৎফর রহমানসহ আর অনেকেই বলেন আমরা সারাটা দিন বৈঠক করে চুলছেড়া বিশ্লেষণ করে জমি জমা ভাগ করে দিয়ে আসছি। কিন্তু জাহাঙ্গীর গং যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটা খুবই দুঃখ জনক ও অমানবিক। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এ.এস.আই আরমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম ঘটনাটি সত্য তবে, স্থানীয় ভাবে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব নিয়েছে মিমাংসা করে দিবেন। যদি মিমাংস না হয় আমরা আইনি ব্যবস্থা নিব।