মোঃ লাতিফুল আজম,নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম নতুন টেপার হাট নামক স্থানে সোনালী বিড়ির মালিক সুনিল শাহ্, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ অমান্য করে ঘনবসতি, হাট-বাজার, কৃষি ব্যাংক, ব্রাক, ইউপি পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিকের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়কের পাশে তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ ভাড়াকৃত গোডাউনের চাতালে মেশিন ও হাতের সাহায্য লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তামাকের পাতা ও ডাটা গুঁড়ো করার বর্জ্যেের ধুলা- ময়লা বাতাসের সঙ্গে মিশে পরিবেশ দূষণসহ জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন প্রতিবাদ করেও ফল না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই তারা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কোমলমতি শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ গর্ভবতী মা । অনেকেই ফুসফুসে ক্যান্সার, লিভার, যক্ষা, ক্ষুধামন্দা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের
মত জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, সোনালী বিডির মালিক দীর্ঘদিন যাবত ঘনবসতি এলাকার সড়কের পাশে তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ গোডাউনের চাতালে তামাক পাতা ও ডাটার মাড়াইয়ের গুড়ার বর্জ্যের বিষাক্ত ধুলা- ময়লা বাতাসে মিশে পরিবেশ দূষণ করছে। তামাক পাতা ও ডাটা মাড়াই করার জন্য মেশিন চালু হওয়া মাত্রই তামাকের দূষিত বর্জ্যের বিষাক্ত ধুলোয় অন্ধকার হয়ে যায় পুরো এলাকা।বিশেষ করে যখন বাতাস বেশি করে প্রবাহিত হয় তখন তামাকের দূষিত বর্জ্যের তীব্র গন্ধে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ বাড়ীতে বসবাসসহ জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে । অন্যদিকে হাঁচি কাঁশির মাঝে কোমলমতি শিশু কিশোররা ঠিকমত লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে পারছেনা।বাতাসের সঙ্গে উড়ে আসা তামাক মাড়াইয়ের ধুলা-ময়লা আশ পাশ এলাকার বাড়িঘর গাছপালা আস্ত আবরণে ঢেকে গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই অধিকাংশ নারী-পুরুষ শ্রমিক গণ চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে খোলামেলা পরিবেশে কাজ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুর রহমান বাবু,জহুরুল, মশিয়ার রহমান বলেন,ওই ঘনবসতি এলাকায় তামাক পাতা মাড়াইয়ের ধুলা- ময়লার অসহনীয় দুর্গন্ধে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।রাতে ঘুমানোসহ খাওয়ার সময় বমি আসে। খাবার গলা পার হতে চায় না। এ নিয়ে এলাকাবাসী অনেক বার নিষেধ করলেও জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা না করে দিব্যি চালাচ্ছেন মাড়াইয়ের কারখানা । এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ শাখার সোনালী বিড়ির ম্যানেজার ছাইদুর রহমানের কাছে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির বিষয়ে ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে কিনা চানতে চাইলে তিনি জানান, ছাড়পত্র আছে দেখানো যাবেনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। খোলামেলা পরিবেশ তামাক পাতা মাড়াই করার নিয়ম নেই। কেউ করে থাকলে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।