নড়াইলের পল্লীতে রেজিস্ট্রেশন বিহীন সমিতি ,জনগনের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

মো: আজিজুর, বিশ্বাস ষ্টাফ রিপোর্টার নড়াইল:নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের চরদিঘলিয়া গ্রামে লক্ষ্মী ভান্ডার সমিতি নামে  একটা প্রকল্প, সরকারি রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সেবামূলক কাজের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

 গোপন সূত্রে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠিানটি দীর্ঘ এক বছর যাবত নড়াইল - কালিয়া লোহাগড়া - ও গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী এলাকা থেকে বিভিন্ন মানুষের সাথে নলকূপ দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।

এই সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সম্রাট কুমার ঘোষ, এবং সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব আছেন ইমরান, ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব আছেন শাকির মল্লিক, এবং এই লক্ষী ভান্ডার সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন বিউটি রানী মন্ডল, বিউটি রানী মন্ডলের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ যাবত, লক্ষী ভান্ডার সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলাম, সেখানে দায়িত্ব থাকা অবস্থায় আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ স্বল্পমূল্যে মানুষদের দিয়ে এসেছি, বিউটি রানী আরো বলেন, ৩/৪ মাস আগে ৩৭/ টা নরমাল  নলকূপ, ও ১৭টা গভীর নলকূপের জন্য টাকা লক্ষী ভান্ডার সমিতির সভাপতি সম্রাট কুমার ঘোষ কে দেই, এখন আমি তাকে টিউবওয়েলের কথা বললে সে আমাকে বলে, তুমি আমার সংগঠনের কেউ না, তোমাকে ও ইমরান কে  আমার সমিতি থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে।আমার সাথে তোমরা বেশি বাড়াবাড়ি করো না, বলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেয়। সাংবাদিকদের বিউটি রানী আরো বলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমি লক্ষী ভান্ডার সমিতির থেকে কিছু টিউবওয়েল এবং বড় পুজোর সময় কিছু টাকা পূজামণ্ডপে দিয়েছি সেটা বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকাতে নিউজ হয়েছে। সেখানে আমি সদস্য আছি, আর এখন আমাকে পরিষ্কার করল এটা কিভাবে হলো। 

 এখন সভাপতি আমার থেকে টাকা পয়সা নিয়ে আমাকে টিউবওয়েল গুলো না দিয়ে, মানুষদের মাঝে প্রচার করছে আমাকে সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাহলে আমার এই টাকা পয়সার কি হবে, আমি সাধারণ জনগণের টাকা নিয়েছি তাদের আমি কি বলবো আর কি ভাবে টাকা ফেরত দেব।  
এই বিষয়ে মুঠোফোনে প্রতিবেদক এর সাথে লক্ষী ভান্ডার সমিতির সভাপতি সম্রাট ঘোষ এর সাথে কথা হলে তিনি বিভিন্ন কথা দিয়ে এড়িয়ে যেতে চাই ও বলেন পরে দেখা করে কথা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ