নিউজ ডেস্কঃ যশোর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি থেকে মেয়র প্রার্থী হওয়ার লড়াই শুরু হয়েছে। চারজন নেতা প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেছেন। রোববার নির্ধারিত দিনে আবেদন করেছেন তারা। আগ্রহী চারজনের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করবে জেলা বিএনপি। এরপর এক-দু'দিনের মধ্যে সেগুলো কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, রোববার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী চারজনের আবেদন পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে দু' একদিনের মধ্যে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকে দেয়া হবে প্রার্থী মনোনয়ন।
বিএনপি থেকে পৌরসভার মেয়রের চেয়ার 'দখলের' চেষ্টা শুরু করেছেন নেতারা। পৌরপিতা হওয়ার গৌরব অর্জনের লড়াইয়ে নেমেছেন চারজন। এ কারণে তারা দলের কাছে মনোনয়নের আবেদন জানিয়েছেন। আবেদনকারীরা হচ্ছেন, নগর বিএনপির সভাপতি পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক কাউন্সিলর হাজি আনিসুর রহমান মুকুল ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁন। এদের মধ্যে পৌরসভায় জনপ্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু ও রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁন একেবারেই নতুন। তারা এখনো পৌরসভায় কোনো পদে নির্বাচন করেননি বলে সূত্র জানিয়েছে। অপরদিকে, মারুফুল ইসলাম পৌরসভার সাবেক মেয়র। এছাড়া, হাজি আনিসুর রহমান মুকুলও পৌরসভার একটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একাধিকবার নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন।জেলা বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের কাগজকে জানান, চারজনের মধ্যে থেকে যেকোনো একজনের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে পাঠানো হতে পারে। সেখান থেকে দলীয়ভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানান ওই নেতা। তবে, আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হতে পারে। সেখানে থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। যদিও জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা ইতিপূর্বে গ্রামের কাগজকে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ নির্বাচন করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এ কারণে যশোর পৌরসভায় বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রতিযোগিতা অনেক কম। তবে, বিএনপির একাধিক নেতার দাবি, যশোর পৌরসভায় একসময় অধিকাংশ কাউন্সিলরসহ মেয়র তাদের দলের ছিলেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবারো বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে দাবি তাদের। অবশ্য, পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শংকা এসব নেতার।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, রোববার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী চারজনের আবেদন পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে দু' একদিনের মধ্যে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকে দেয়া হবে প্রার্থী মনোনয়ন।
তথ্যের উৎসঃ গ্রামের কাগজ
