গাজীপুর প্রতিনিধি: শ্রীপুর পৌর নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং নির্বাচনকে একমুখী করার লক্ষ্যে নৌকার মেয়র প্রার্থী ও তার সন্ত্রাসীরা অরাজকতার সৃষ্টি করছে।
ধানের শীষ প্রার্থীর সমর্থকদের অভিযোগ নির্বাচনী প্রচারনার শুরুতে বিভিন্ন সভা এবং নির্বাচনী সমাবেশে ধানের শীষ প্রার্থী এডভোকেট কাজী খানের পক্ষে সাধারন মানুষের ব্যাপক সমর্থন দেখা যায় ও সাধারন মানুষ ধানের শীষে ভোট দিতে একজোট হয়। এরপর ধানের শীষের সমর্থকদের প্রচারনায় গনজোয়াড় দেখে আওয়ামী প্রার্থী নানাবিধ ষড়যন্ত্র শুরু করে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নৌকা প্রার্থী এবং তার সমর্থকরা ধানের শীষের প্রচারনায় বাধা, মারধর, হত্যা হুমকি সহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।
তারই ধারাবাহিকতায় ৯ জানুয়ারী সকাল ১২ টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার আইনজিবীরা ধানের শীষের পক্ষে গনসংযোগ চালানোর সময় নৌকা প্রার্থীর সুমন্ধীর নেতৃত্বে কিছু সন্ত্রাসী প্রচারনায় বাধা দেয় এবং মাইক্রোবাস ভাঙচুর, আইজিবীদের মারধর ও হত্যা হুমকি দেয়।
এই ঘটনার ঠিক পরের দিন অর্থাৎঃ ১০ই জানুয়ারি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার লক্ষে ধানের শীষের প্রধান নির্বাচনী অফিসে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক এবং আওয়ামী সন্ত্রাসী নূরে আলম মোল্লা, শেখ সেলিম, সাইফ সহ শতাধিক নেতাকর্মী দা, হকিস্টিক,লাঠি, চাপাতি,এসিডসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্রসহ অফিসে থাকা ধানের শীষের প্রার্থী এবং নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা অফিসে থাকা চেয়ার টেবিল,গ্লাস,এবং নির্বাচনী সামগ্রীর ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
প্রথম দফা হামলার পরপরই দুপুরে আরও দু'দফা হামলায় ধারালো দায়ের কোপে বিএনপি'র মেয়র প্রার্থী এড. কাজী খান ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল মন্ডল, পৌর ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান সোহেল মন্ডল, শ্রমিকদল নেতা খোরশেদ আলম, যুবদল নেতা আনোয়ার বেপারী, স্বেচ্ছাসবক দল নেতা রাজিবুল বেপারী,ইঞ্জি; উজ্জল মাহমুদ, ছাত্রদল নেতা আরাফাত বেপারী,আমিনুল ইসলাম, যুবদল নেতা সবুজ প্রধান,শ্রমিকদল নেতা সেলিম, রাহাত হাসান জুয়েলসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। ওই সময় হামলাকারীরা বিএনপি'র নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।
এরপর ষড়যন্ত্র করে বিএনপির প্রায় ৪ শত নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা করে।
এরপর ১২ই জানুয়ারী বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো এবং সেটি নির্বাচনী অফিস ও পুলিশের দ্বারা অনুমতিপ্রাপ্ত ছিলো। কিন্তু নৌকা প্রার্থী ষড়যন্ত্র করে একই দিনে একই স্থানে সমাবেশ করার উদ্যেগ নেয় এবং ধানের শীষ প্রার্থীর সমাবেশ বন্ধ করে দেয় ও ষড়যন্ত্র শুরু করে।
এসকল অরাজকতার পাশাপাশি নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা ধানের শীষের প্রচারনার মাইক ভাঙ্গচুর, পোষ্টার লাগানোতে বাধা এবং তা ছিড়ে ফেলা, বিভিন্ন জায়গায় প্রচারনা অফিসে হামলা, নেতাকর্মীদেরকে মারধর, হত্যা সহ নানা ধরনের ভয়ভিতী পদর্শন করছে।
এসকল বিষয়ে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী এডভোকেট কাজী খান জানান- ধানের শীষের পক্ষে এবং তার বিপুল সমর্থন দেখে নৌকা প্রার্থী ভিত হয়েছে ও বুঝতে পেরেছে নৌকা প্রার্থীর শতকরা ২০% সমর্থনও নাই। এই হেরে যাওয়ার ভিতীর কারনেই নৌকা প্রার্থী তার সন্ত্রাসী ও ক্যাডার দ্বারা ধানের শীষের বিরুদ্ধে এসব অরাজকতা এবং ষড়যন্ত্র মূলক কাজ চালাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক হামলার কারনে সাধারন মানুষের ভিতরে আতঙ্ক কাজ করছে যার ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাছাড়াও বার বার হামলার পরেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ধানের শীষ প্রার্থী বলেন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অরাজকতা ও ষড়যন্ত্রের পরেও প্রশাসনের নিরবতা জানান দেয় গনতন্ত্র আজ হারিয়ে গেছে।