নাহিদ আহসান এর "মায়ের নীল শাড়ি" ভেসে যাচ্ছে জনপ্রিয়তার জোয়ারে!

বিনোদন ডেস্কঃ ১৪ জানুয়ারি ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে নাহিদ আহসানের একক গল্পগ্রন্থ মায়ের নীল শাড়ি। খুব কম সময়ে পাঠকদের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে গল্পগ্রন্থটি। শুধু তাই নয়, যতই দিন যাচ্ছে বেড়ে চলেছে তার জনপ্রিয়তা। ছোট্ট একটি বুক রিভিউর মাধ্যমে আরেকটু জেনে নেওয়া যাক গল্পগ্রন্থটি সম্পর্কে-
বই: মায়ের নীল শাড়ি 
লেখক: নাহিদ আহসান
প্রকাশনী: পুস্তক প্রকাশক 
প্রথম প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২১
প্রচ্ছদ: সাহাদাত হোসাইন 
পৃষ্ঠা সংখ্যা:৮০ 
মলাট মূল্য: ২০০ টাকা 

মোট এগারোটি গল্পের সমন্বয়ে বইটি রচিত। যথা: ১.বিকেলবেলার গল্প, ২. জুতাচোর,   ৩. পাঁচ টাকার পুতুল, ৪. মায়ের গল্প,৫. মায়ের নীল শাড়ি, ৬. সারপ্রাইজ,৭. বিনীতা ঘুমোচ্ছে, ৮. একটি স্মরণীয় রাত, ৯. অপেক্ষা,১০.ষড়যন্ত্র,১১. শূন্যতা।
মায়ের নীল শাড়ির গল্পসমূহের উল্লেখ্যযোগ্য চরিত্র ও চরণসমূহ-
পাঁচ টাকার পুতুল: একটি সুখী পরিবার। যে পরিবারে অভাব ছিলো না। ছিলো না ভালোবাসার কমতি। মেঘলা সবার ভালোবাসায় শিক্ত ছিলো প্রতিটি মূহুর্ত। 
আর মেঘলার পাশের সিটে বসে থাকা সেই ছোট্ট মেয়েটি পরিবারের অভাবের কারণে মেয়েটিকে পাঁচ টাকার  পুতুল পর্যন্ত কিনে দিতে পারলোনা। সেই মেয়েকে নয় ছয় বুঝিয়ে বললো গাড়ি থেকে নেমেই তাঁকে পুতুল কিনে দেওয়া হবে। তবুও মেয়ে কান্না করতে লাগলো। গাড়ি যখন গন্তব্যে পৌঁছলো। তখন মেঘলা গাড়ি থেকে নেমেই  সেই অবুঝ ছোট্ট মেয়েটির হাতে পুতুলটি দিয়ে দিলো। মেয়েটি পুতুল হাতে পেয়ে যে হাসিটা দিলো যেনো পৃথিবী হাসছে। 
 
 মায়ের গল্প:এই গল্প টা যদি কোনো কঠিন হৃদয় বান ব্যক্তিও পড়ে তাহলে সেও নড়ে বসবে। থমকে যাবে। টনক নড়ে যাবে। যেমন আমারও তাই হয়েছে। 
আর একটা বড় বিষয় হচ্ছে যে, ছোট্ট বেলায় মক্তবে পড়তে যেতাম যখন তখনকার চিত্র গুলো তুলে ধরা হয়েছে। যেটা হৃদয়ে লেগেছে। অতীতের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। 
                             
সারপ্রাইজ: এই গল্পের মাঝে যে চরিত্র টা তুলে ধরা হয়েছে বাস্তবে এই চিত্র টা এখনকার প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে ভিদ্যমান। এমনও প্রেমিক আছে যে নিজে না খেয়ে। মনকে কষ্ট দিয়ে। মনের সাথে যুদ্ধ করে টাকা জমিয়ে রাখে। প্রেমিকাকে খুশি করার জন্য। শুধু প্রেমিকাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। 
আর গল্পের শেষে  যে চরিত্র টা তুলে ধরা হয়েছে তা কখনো কল্পনা করতে পারিনি। কখনো বুঝতে পারিনি যে হৃদয়কে চূর্ণবিচূর্ণ করে গল্পটা শেষ করা হবে। শরিরের প্রতিটি সিরা-উপসিরায় গল্পের শেষ চরিত্রের দুঃখ গুলো বহমান।  
পরিশেষে "কপোতাক্ষ নিউজ" এর পক্ষ থেকে  লেখকের জন্য অশেষ শুভ কামনা রইল।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ