আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ সেকেন্ড চান্সে শিক্ষাদান- শেখ হাসিনার অবদান'' এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে সাতক্ষীরা জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আয়োজনে এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা'র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এম, এম মাহমুদুর রহমান।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন সামাজিক ও পারিবারিক বোঝা যেন কোন শিশুর ঘাড়ে না যায়। সকল শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনতে হবে, এজন্য শিশুদের ঝরে পড়ার কারন খুঁজে বের করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম, পিটিআই সুপার এস, এম রাউফার রহিম ও সাসের নির্বাহী পরিচালক শেখ ইমান আলী।
অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আশীষ কুমার মন্ডল, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল গণি, সাতক্ষীরা সরকারী বালক উচচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশ, বরসা'র সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল আলম মুন্না ও সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো আনিসুর রহিম প্রমুখ।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর উপপরিচালক হিরামন কুমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থার উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার গাজী শামীম হোসেন এবং মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ মোট ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন।
১ জুলাই ২০১৮ হতে ৩০ জুন ২০২৩ সালের মধ্যে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভূত (ঝরে পড়া এবং ভর্তি না হওয়া) শিশুদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য দ্বিতীয় বার সুযোগ দেয়া এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূলধারায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে, দেশের ৬৪ জেলার ৩৪৫ টি উপজেলা এবং সকল সিটি কর্পোরেশনসহ ১৫ টি শহর এলাকায় অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর ৮-১৪ বছর বয়সের ১০ লক্ষ শিশুদের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে সরকার।