আবাসনে বাস্থান শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান

আমি প্রায়শঃ কান্নাকাটি করি।
হরহামেশা নয়,  মাঝে মধ্যে।
দিনে,হোক রাতে, মধ্য দুপুরে,সাঝে কি সন্ধ্যায়, 
কি ভোরে কি গরু বাধা বিকালের ফুরুন্ত সুর্য্যালয়ে
অথবা বিপদাসংকুল কোন সংকেত দিয়ে গভীর রাতের তৃতীয় কোন প্রহরে শিয়াল নয়তো কিম্ভূতকিমাকার দানব ডাকা কোন এক তৃতীয় প্রহরে, 
আমি প্রায়শঃই খুব কান্না কাটি করি।

মুক্ত মানুষ তাজা পুড়িয়ে মারার মত, 
দর্জি বিশ্বজিৎ কে যেদিন,
 ঢাকার কুলাংগারদের যাবার, 
প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত  দর্শক কে সার্কাসের গ্যালারিতে দ্বার করিয়ে রেখে, 
কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করে ছিল, 
আমি সেদিন কেঁদেছিলাম। 
খুব কেঁদেছলাম, 
বেদনার বোঝা বইতে না, 
আমি মেঝেয় বুক ঠেকিয়ে আমি কেঁদেছিলাম।
প্রতিনিয়ত নয়, 
প্রতিটি বেদনা আমাকে খুবড়ে খুবড়ে কাঁদায়। 
সারাদিনের কর্মক্লান্ত রানু যখন, 
আমার বুকের পাজেরে বুক ভর্তি শ্বাস নিয়ে,
 ঘুমে আছড়ে পড়ে, আমি আস্তে অতি ধীরে, 
বাহুবন্ধন খুলে ফেলি।
আমি ফিরে আসি আমার বালিশে।
নিঃশব্দে ওপাশ ঘুরে আমি কাদি। 
দীর্ঘক্ষন, দীর্ঘ রাত, দীর্ঘ সময় ধরে আমি কাদি,
কেদেই চলি যেন প্রহরের প্রহর। 
রানু উঠে, তাহাজ্জুদ পড়ে,ফজর পড়,
আমি কেঁদে চলেছি, কেঁদে চলেছি। 
ঈশ্বর যেন ধ্যান মগ্নতাকে আকড়ে আছে আমাকে মূর্তিমান কোনো পুজোরী ভেবে। 
মৌসুমি প্রবাহের মতো, 
প্রকৃতীর খামখেয়ালি বেহায়াপনার শেষ আবাসস্থল 
যেন আমার এ কান্নার আর্তি। 
এ আর্তি কড়াল গ্রাসের রাহু গ্রহণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ