আব্দুল জব্বার, স্টাফ রিপোর্টার।।গুন্ডামি ভন্ডামি আর গোঁড়ামি ধর্ম নয়,এই গোঁড়াদের সর্বশাস্ত্রে শয়তানি চেলা কয়।নির্বোধ জাতির বোধ উদয়ে কবি নজরুল আরও বলেছিলেন
যাহারা গুন্ডা, ভন্ড- তারাই ধর্মের আবরণে,
স্বার্থের লোভে ক্ষ্যাপাইয়া তোলে অজ্ঞান জনগণে জাতিতে জাতিতে ধর্মে ধর্মে বিদ্বেষ এরা আনি, আপনার পেট ভরায়, তখত চায় এরা শয়তানি।
আজ শষ্যের চেয়ে আগাছা বেশী; ধর্মের চেয়ে টুপি-দাঁড়ি বেশী। এই টুপি-দাঁড়িওয়ালা মোল্লারা কি চায়? পেট পূজারী মোল্লাদের ক'দিন পর পর কী এতো সমস্যা দেখা দেয়? ধর্ম শিক্ষার নামে বলাৎকার, ধর্ষণ, ইসলামের নামে মানুষ হত্যা, জঙ্গীপনা, সাম্প্রদায়িক কলহ, ভাংচুর, লুটতরাজ- মানবতা বিরোধী ইত্যাদি কর্মকান্ডের কোনকিছুই তো ইসলাম সমর্থন করে না।
তা সত্ত্বেও নির্বোধ মানুষগুলো মনে করে যে, শান্তি বিনষ্টকারী এই মোল্লারাই ইসলামের রক্ষক ও ধারক বাহক। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে, কোন ধর্মের মৌলবাদীরাই সে ধর্মের মূলে নেই, বরং সর্বযুগেই তারা সত্যের গৃহ হতে ছিটকে গিয়ে স্ব স্ব ধর্মেরই প্রেরিত পুরুষদের বিরোধীতা করে এসেছে।
আর মুসলমান ধর্মের মোল্লারা তো ধর্মের সত্য হতে এমনভাবে বেড়িয়ে গেছে যেভাবে ধনুক হতে একটি তীর বেড়িয়ে যায়। সমাজে আজ যাদেরকে মানুষ মুসলমান বলে মনে করছে এরাই কারবালার ময়দানে মহানবীর ধর্মদর্শন ও নবী-পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মূল ইসলাম থেকে ছিটকে গিয়ে টুপি-দাঁড়ি মার্কা অনুষ্ঠানসর্বশ্ব ভোগবাদী এক এজিদী ইসলামের সূচনা করেছিল যা এখনও প্রচলিত আছে, সেই নবগঠিত ইসলামের খাঁটি উত্তরসুরিই বর্তমান কালের মোল্লা-মুন্সি ও মুফতি-মাওলানারা।
ইসলামের চেহারাকে পাল্টে দেয়া হয়েছে, এজিদী ধর্মকেই মোহাম্মদী ধর্ম বলে সমাজে, ধর্মগ্রন্থে, জনমনে বলপূর্বক চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই কোন ঐশী মহামানবই এইসব মোল্লাদের ধর্মমতকে সমর্থন করেননি, মোল্লাদের ধর্মচর্চাকে সত্য-শুদ্ধ বলে স্বীকৃতি দেননি। পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবাল মোল্লাদের নিয়ে লিখেছেন, মুশরিক আজ মুসলিম বেশে করিতেছে কোলাহল।