আদর্শ শিক্ষকের শাসন বনাম মাস্তান শিক্ষকের শাস্তি!

মোঃ রবিউল হোসাইন সবুজঃ গতকাল থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ মোটামুটি ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজটিতে একটি কোমলমতি শিশুকে নির্মমভাবে প্রহারের দৃশ্য ফুটে উঠেছে। একজন শিক্ষক নামের জানোয়ার ছোট্ট শিশুটিকে পশুর মতো পেটিয়েছে! যা জুলুমের সীমা ছাড়িয়ে গেছে! এমন অমানবিক নির্যাতন শিশুদের স্বাভাবিক মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে চরম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একজন আদর্শ শিক্ষক হচ্ছেন শিশুমনে বীজ বপনের কারিগর। তাঁর আদর্শ আরো লক্ষ-কোটি আদর্শ তৈরির কারখানা। তাঁর আদর্শ দেখে হাজারো পরিবার অনুপ্রাণিত হবে। তাই বলা যায়, একজন আদর্শ শিক্ষক তার ছাত্রকে শাসন করতেই পারেন; তবে তা সীমারেখার ভেতরে। আর শাসন করাটা আদরেরই অন্তর্ভুক্ত এবং আদর্শ ছাত্র গঠনে শাসনের প্রয়োজনও অপরিহার্য; কিন্তু লাগামহীন-ভাবে মাত্রাতিরিক্ত বেত্রাঘাত করা, লাথি মারা এ-গুলো তো মাস্তান লোকের কাজ। মাদ্রাসার হেফজ বিভাগ-গুলোতে এসব দৃশ্য নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতএব এ ধরনের ছাত্র নির্যাতনকারী সে হুজুর হোক আর খেজুর হোক, এরকম পাষণ্ড নরপিশাচদের বিচার হওয়া অপরিহার্য। ইসলামের সোনালী ইতিহাসে বিচারের হাত থেকে স্বয়ং খলিফাও রেহাই পান নি। খলিফা আলী [রাঃ]-এর বর্ম বিষয়ক বিচারের ইতিহাস কে না জানে। স্বয়ং উনাকেও আদালতে হাজির হতে হয়েছিল এবং বিচার বিভাগের রায় মেনে নিতে হয়েছিল। সেখানে কোনো হাফেজ/আলেম যদি নির্যাতন করে, তার বিচার হওয়া তো খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এক্ষেত্রে কোনো সফট কর্নারের কারো কথা গ্রহনযোগ্য হবে না। বরং আমি বলব, উক্ত ভিডিও ফুটেজটি দেখে দেখে শিশুটিকে যতটা বেত্রাঘাত, যতটুকু ক্ষিপ্রতা ও তীব্রতা নিয়ে আঘাত করেছে, অই মাস্তান কুলাঙ্গার শিক্ষক নামের নরপিশাচকে তার চেয়ে রিডাবল পরিমাণ বেত্রাঘাত করা উচিত৷ তাহলেই এর সঠিক বিচার হবে। আর এটাই হবে তার জন্য কিসাসের শাস্তি৷

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ