আসছে কঠোর লকডাউন!কি পরিকল্পনায় প্রশাসন!

মোঃ আরিফুল ইসলাম অনিক,জয়পুরহাট(পাঁচবিবি) প্রতিনিধি:দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
আগামী ১৪ ই এপ্রিল থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ যাতে ঘরের বাইরে না যায় এটা যে কোন মুল্যে নিশ্চিত করতে চায় প্রশাসন। 

এমন কঠোর বিধিনিষেধ সহ আগামী বুধবার থেকে আপাতত সাত দিনের জন্য সারাদেশে কঠোর লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই মুহূর্তে আর কোন উপায় না দেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কাংখিত ফল না পাওয়া গেলে লক ডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।

এ সময় সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে মানতে হবে।এমন ইংগিত পাওয়া গেছে সরকারের উপর মহল থেকে।এর আগেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,মানুষের জীবন বাচাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে,মেহনতী মানুষের কথা বিবেচনা করে কড়া লকডাউন দিতে চায় সরকার।কিন্তু একদিকে করোনার বেপরোয়া সংক্রমণ ও মৃত্যু অপরদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে মানুষের চরম অবজ্ঞার কারণে সরকার এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে।

এবারের এক সপ্তাহের লকডাউন কে বলা হচ্ছে কমপ্লিট লকডাউন। মানুষ ইচ্ছে করলেই ঘর থেকে বের হতে পারবেনা।অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেবেনা প্রশাসন। যে কোন মুল্যে অবাধ ঘোরাঘুরি বন্ধ নিশ্চিত করতে চায় সরকার।সরকার দলীয় কিছু প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ না মানার কারনে জনগনের প্রতি কিছুটা ক্ষুব্ধ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। 

গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে  দেওয়া ১৮ দফা নির্দেশনা মানেনি জনসাধারণ। নানারকম অনুরোধের পরও মাস্ক পরানো যায়নি।৪৫ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষ এখনো মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখে।পুলিশ দেখতে মুখে লাগায় আবার পুলিশ গেলে থুতনিতে রাখে।

১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চললে হয়ত সংক্রমণের হার কমানো যেত।বাধ্য হয়ে সরকার গত ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ রেখে সীমিত পরিসরে অফিস আদালত খোলা রেখে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করে।কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে এবং বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে কয়েকটি বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার।প্রথমে চালু হয় গণপরিবহন, কিন্তু ৬০ শতাংশ  ভাড়া আদায় ছাড়া আর কোন শর্ত পুরন হয়নি।এর পর দাবির মুখে খুলে দেওয়া হলো শপিংমল। সব কিছু যেন স্বাভাবিক হয়ে গেল।রাস্তায় নামল অতিউৎসাহী জনগন।শুরু হয়ে গেল জমজমাট বাজার।


মাননীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আগাম ইংগিত দিয়ে রেখেন আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন হতে যাচ্ছে।জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সুরেও একই ইংগিত পাওয়া যাচ্ছে।সরকারের সবুজ সংকেত পেলে কঠোর লকডাউন যে কোন মুল্যে বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে জনগনের বিরুপ মনোভাব থাকলেও জনগনের স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।দেশের মেহনতী মানুষের জীবন বাঁচাতে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সরকারকে জনগন সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সচেতন নাগরিকরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ