ইসমাইল হোসেন,রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি: প্রিয় রাজাপুর সদর ইউনিয়ন বাসী,
সমগ্র দেশ আবারো আজ করোনা ভাইরাস COVID-19 সংক্রমণের ভয়াল গ্রাসে আক্রান্ত।বাংলাদেশের সরকার ৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখ থেকে লক ডাউন ঘোষণা করেছেন। সকলকে বাড়ীতে থাকতে বিশেষ নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এই ১৮ দফা নির্দেশনা আমাদের সকলকে অবশ্যই পালন করতে হবে।
আমি সকল ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যারা দিনরাত নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। আমি ধন্যবাদ জানাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সকল সদস্যবৃন্দকে। সকল গণমাধ্যমকর্মী, ব্যাংক ও অন্যান্য জরুরী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রিয় রাজাপুর সদর ইউনিয়ন বাসী,
আপনারা অত্যন্ত ধৈর্য্যর ও সাহসের সাথে করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভুত কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন। আপনাদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি কমানোর জন্য আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
*আপনারা সকলে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করুন।
*নিজ বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখুন।
*ব্যাবহারিত বজ্ৰ পলি ব্যাগে করে পৌরসভার নির্দিষ্টি ডাস বক্সে ফেলুন ।
*ব্যবহারিত মাস্ক ও কোনপ্রকার অবর্জনা রাস্তায় কিংবা ড্রেনে ফেলবেন না ।
*বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না, বিশেষ প্রয়োজন বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন ।
*বাইরে থেকে ফিরে নিজেকে ও কাপড় পরিষ্কার করুন।
*রাজাপুর উপজেলা প্রশাসনের সমন্নয়ে ইতিমধ্যে কাঁচাবাজার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য উন্মুক্ত স্থানে হাটবাজার সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
*জরুরী দরকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।
*ব্যবসায়ী ভাইদের অনুরোধ করবো সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করুন ।
*সকলে নিয়মিত ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করি, হাঁচি, কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখি।
প্রিয় রাজাপুর সদর ইউনিয়ন বাসী,
আপনাদের সহযোগিতা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আমরা জানি কাজটি সহজ নয়। দিনের পর দিন একাধারে বাড়িতে থাকা কষ্টকর। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা দিনে কর্ম করে চলে, দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক সহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী। তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তারপরও নিজের, নিজের পরিবার ও সকলের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত করার জন্য আপনারা এই কষ্ট করছেন।
এই সংকট কালে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ কমানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ঝালকাঠী-১আসনের স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন মহোদয়ের প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে হতদরিদ্র দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, বিধবা নারী, হিজড়া সহ নিম্ন আয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমূল্যে খাদ্যদ্রব্যসহায়তা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঝালকাঠি -১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন মহোদয়ের নির্দেশনায় এ বিষয়ে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেই সাথে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ কার্যক্রম ও টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে নিত্য প্রয়োজীয় পণ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ নিজ উদ্যোগে হতদরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করছেন।
এই সংকটময় সময়ে আমি শহরের সকল বিত্তবান মানুষকে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানাচ্ছি এবং আমি গতবারের ন্যায় এবারও আমি আমার সাধ্যমত সহোযোগিতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় রাজাপুর সদর ইউনিয়ন বাসী,
আসুন আমরা সকলে ধৈর্যের সাথে এই সংকট মোকাবেলা করি। আমাদের সকলের দায়িত্বশীল আচরণ এই সংকট থেকে উত্তরনের পথ সহজ করবে। আমরা অবশ্যই এই সংক্রমণ থেকে মুক্ত হবো ইনশাল্লাহ।
আসুন আমরা সকলে সচেতন হই ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখি। নিজেরা সুরক্ষিত থাকি, পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীদের সুরক্ষিত রাখি।
রাজাপুর -কাঠালিয়ার মানবিক নেতা জননেতা আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন এমপি মহোদয়ের আদেশক্রমে ও দিক নির্দেশনায় আমি কথা দিচ্ছি এই দুঃসময়ে আমার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি মোঃমাহমুদুল হাসান মাহমুদ এই দুঃসময়ে সবটুকু দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করবো।
মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
মোঃমাহমুদুল হাসান মাহমুদ
সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ,ঝালকাঠি।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শহর ছাত্রলীগ,রাজাপুর,ঝালকাঠি।