![]() |
ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত |
মোঃ সজীব হোসেন, মোহাম্মদপুরঃ এই জাতির শিক্ষিত বিবেকের অভাব নেই; তবে শিক্ষাক্ষেত্রে তালবাহানা দেখার মত বিবেকের বড় অভাব। আজ দেড় বছরের বেশি শিক্ষা ক্ষেত্রে যে তালবাহানা চলছে, তা জাতির বিবেককে নাড়া দেয় না। সবাই যেন নাট্যমঞ্চে নাটক দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
অশিক্ষিত শ্রমজীবী মানুষ যদি করোনার এই সঙ্কটের মধ্যে নিজেদের জীবিকা নির্বাহের কাজে নামতে পারে, তবে কি নিয়মনীতির মধ্যে গড়ে ওঠা ছাত্রসমাজ করোনাকে মানিয়ে নিতে পারতো না? কেন তাহলে খেলার পুতুলে পরিনত হবে শিক্ষাক্ষেত্র? যে ছাত্রদের আজ সংসারের হাল ধরার কথা তারাই আজ সংসারের বোঝা।
সরকার কি পারবে জীবনে দেড়টা বছর ফিরিয়ে দিতে? অনার্স শেষ করে আজ যাদের চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা, দেড় বছরেও পরিক্ষা শেষ করতে পারে নাই সেসকল অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। চাকরির বয়সের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকলেও ছাত্র বয়েসের কোন সময়সীমা করোনা পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে না। যে বলির পাঠা আপনি এবং আমি নিজেও। শিক্ষিত হলেই যে আপনি নিশ্চিত ভবিষ্যৎ পাচ্ছেন এমনটা না। তবে যে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দাড়িয়ে থাকবেন এটাই আমাদের সমাজ।
করোনা কেন শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে? ইতিহাস বলে সকল আন্দোলনের শুরুটা করেছে ছাত্রসমাজ তাহলে আজ কেন ছাত্রসমাজ নির্বাক? কেন ছাত্র সমাজ নাটকের অংশ, খেলার পুতুল। তাহলে কি ছাত্রদের মধ্যে আগের মূল্যবোধ কাজ করে না, নাকি তারাও আজ তাদের ইতিহাস ভুলে গেছে?
আজ কাল করতে করতে অনেকটা সময় জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। তাই সকল কার্যক্রম-এর মত শিক্ষা ক্ষেত্রকেও নিয়ম-নীতি নির্দেশনার মাধ্যমে চালিয়ে যাওয়ার যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
সময় উপযোগী মতামত
জবাবখুবই চমৎকার মতামত
জবাব