সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের সংঘর্ষে আহত-১৩


মাসুদ রানা, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্য সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায সদর উপজেলার বাগবাটী ইউনিয়নের পশ্চিম গাড়দহ ইছামতি নদী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। 
এই ঘটনায় এলাকাবাসি ৯৯৯ ফোন দিলে সদর থানার এএসআই তাপস সরজমিনে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, যমুনা নদীর শাখা ইছামতি নদী থেকে সামিম গংদের কাছ থেকে একই এলাকার মৌলানা আব্দুস সাত্তার নিজ সম্পত্তি দাবি করে সামিমদের নিকট সরকারি মাটি বিক্রি করেন একমাস আগে। এরপর নতুন করে টাকা হাতিয়ে নেবার অপকৌশলে এলাকাবাসিকে লেলিয়ে দেয় মাটি কাটা বন্ধ করতে। মাটি কাটতে বাধা দিতে গেলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষে পশ্চিম গাড়দহ গ্রামের মাটি ব্যবসায়ি সামিম, মামুন, বিপ্লব, সিহাব, আইনুর নাহার ও কানগাতি গ্রামের তারেক মল্লিক আহত হন। অপরদিকে সাত্তার গ্রুপের আব্দুল্লাহ, নুরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদিন, আব্দুল লতিফ ও মোতালেব আহত হয়েছেন।
আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ  ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি নিন্তনে আনতে সদর থানার এএসআই তাপস সঈীয় ফোর্সসহ সরজমিন পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
এ বিষয়ে মাওলানা আব্দুস ছাত্তার বলে, ইছামতী নন্দী ১ নং খাস ক্ষতিয়ান সম্পতি আমি যে মাঠি বিক্রি করেছি ওখানে বাসের ব্যারা দিয়ে আটকিয়ে রেখেছি। সংঘর্ষের ঘঠনাটি অন্য স্থানে এ ঘঠনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ ব্যাপারে মাটি বিক্রিতা সামিম বলেন মাওলানা আব্দুস ছাত্তার নিজ সম্পত্তি দাবি করে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে গ্রাম বাসিকে লেলিয়ে দিয়ে আমার লোক জনকে মারপিট করে আহত করেছে।
সিরাজগঞ্জে সদর থানার এএসআই তাপস ঘটনাটি নিশ্চিত  করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ