এবারের বাজেটে প্রায় অধিকাংশ দল ও সুশীল সমাজ বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এর কারণ যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্যে। একটি দল যখন গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সরকার গঠন করে তখন তার ভাবনাগুলো যেমন মানুষের জন্য হয় তেমনি মানুষ ও খুব সহজে গ্রহণ করে।এবারের বাজেটে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টা খুব জোরালো ভাবে উচ্চারণ করা হয়েছে। অথচ আমরা এটা ভাবছিনা যে স্বাস্থ্যখাতের এ সমস্যা কি বরাদ্দ বাড়ানো হলেই সমাধান হবে?আজ একটা বৈশ্বিক মহামারীর কারণে প্রাতিষ্ঠানিক যে দূর্বলতা সেটা স্বাস্থ্যখাতের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে মাত্র।স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেই সমস্যার সমাধান হবে না নিশ্চয়ই?
আমরা জানি, একজন মানুষ যেমন একা বেচে থাকতে পারেনা,তার বেচে থাকার জন্য সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন্বয় প্রয়োজন তেমনি রাষ্ট্র কোন নিদিষ্ট খাত কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে চলতে পারে না। তাকে চলতে হলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা খাতের সমন্বয় প্রয়োজন।জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ ধরা হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক রাজনৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এটা অবাস্তব বলে আখ্যা দিয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রের জন্য সেটা অসম্ভব কিন্তু আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য সেটা সম্ভব। কারণ আমাদের মত দেশে এখনো উন্নত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও তার অনুবর্তী ম্যানেজমেন্ট গড়ে উঠেনি। আমাদের বিভিন্ন খাত আর তরুণ প্রজন্মকে উৎপাদনশীল কাজে লাগাতে পারলে সেটা সম্ভব।
![]() |
প্রভাঃ সোহেল রানা |
আমরা জানি, একজন মানুষ যেমন একা বেচে থাকতে পারেনা,তার বেচে থাকার জন্য সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন্বয় প্রয়োজন তেমনি রাষ্ট্র কোন নিদিষ্ট খাত কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে চলতে পারে না। তাকে চলতে হলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা খাতের সমন্বয় প্রয়োজন।জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ ধরা হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক রাজনৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এটা অবাস্তব বলে আখ্যা দিয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রের জন্য সেটা অসম্ভব কিন্তু আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য সেটা সম্ভব। কারণ আমাদের মত দেশে এখনো উন্নত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও তার অনুবর্তী ম্যানেজমেন্ট গড়ে উঠেনি। আমাদের বিভিন্ন খাত আর তরুণ প্রজন্মকে উৎপাদনশীল কাজে লাগাতে পারলে সেটা সম্ভব।
এবারের বাজেটে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে গুরুত্ব এর দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে রাখা হয়েছে। অথচ এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলে তা অন্যান্য খাতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিতে পারতো। কারণ করোনা কালীন এ মহামারীর সময়ে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে গুরুত্ব দিলে মহামারি ঠেকানো যেমন সম্ভব আবার অর্থনীতিকে পূর্ণরুদ্ধার করাও তেমনি সম্ভব।এসবকিছুর পরও যেহেতু রাজনীতি সবকিছু নির্ধারণ করে দেয়, তাই আগামী তে একটা উন্নত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই পারে বাজেটের সুষম বণ্টন করতে।
মোঃ সোহেল রানা (প্রভাষক)
হামিদপুর আল হেরা কলেজ, যশোর।