যশোরের শার্শায় জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে সীমাহীন

ছবিঃ ইন্টারনেট

মোঃ ফজলুর রহমান, যশোর: যশোরের শার্শায় গ্রামাঞ্চলে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে সীমাহীন ভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিটি ঘরে ঘরে কমবেশি মানুষ জ্বরে আক্রান্ত।
মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে গ্রামাঞ্চলে জ্বরের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষ এটা মৌসুমী জ্বর মনে করছে কিন্তু বর্তমান করোনা কালীন সময়ে জ্বর কে একেবারে অবহেলা করা যাবে না এমন মন্তব্য করলেন জামতলা বাজারের পল্লী চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল খালেক, তিনি আরো বলেন আমি গত শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ টি রোগী দেখেছি ০ থেকে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত তাবে প্রত্যেকটি রোগীর গায়ে ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্ৰী পর্যন্ত গায়ে জ্বর ছিলো  জ্বরের সাথে সাথে সমস্ত শরীর ব্যথা অনুভব করা, মাথা ঘোরা, সর্দি কাশি ইত্যাদি উপসর্গ পেয়েছি। এ জ্বরে একটা মানুষ স্বাভাবিক  হতে সময় লাগছে দীর্ঘ ২০থেকে ২৫ দিন মত। তিনি আরো বলেন  যে সমস্ত রোগীদের গায়ে ১০৪ থেকে ১০৫/১০৬ ডিগ্ৰী তাপমাত্রা মিলছে সে সমস্ত রোগীদের দূরত্ব সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এদিকে বাগআঁচড়া সাতমাইল এলাকার পল্লী চিকিৎসক ডা: সাধন গোস্বমী তার ফেইসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন তিনি প্রতিদিনই জ্বরের রোগীর চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন একদিন সারাদিনে ০ থেকে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত ৪৯ টি রুবি দেখেছেন যাদের প্রত্যেকের শরীরে ১০২ থেকে ১০৩/১০৪ ডিগ্ৰী তাপমাত্রা ছিল, যা আতঙ্কের কারণ রোগীদের গায়ে জ্বর এর সাথে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা হাসি কাশি ও সর্দির লক্ষণ বিরাজমান তবে জ্বরের সাথে সমস্ত শরীর ব্যথা অনুভব করছে বেশিরভাগ রোগী তবে জ্বর হলে একবার অবহেলা করা ঠিক না। জ্বরের প্রকারভেদে চিকিৎসার প্রয়োজন অনেকেই অবহেলা করে ফেলেন এটা ঠিক না। অনেক সময় অনেকে অকারণে অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে,যার ফলে শরীর জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, যে কারণে অনেকদিন চিকিৎসা নিলেও জ্বর সারে না বর্তমান পরিস্থিতির আলোকেই জ্বর এলেই দেরি না করে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন বর্তমান দেশের যে অবস্থা তাতে করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহির না হওয়া উচিত।
আর বাড়ির বাহিরে এলে ও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে আমাদের সকলের।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ