নাঈমুর রহমান পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নবগঠিত কমিটিতে বঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের পরীক্ষীত ও ত্যাগী নেতা কর্মীরা । কমিটিতে নতুন করে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে বেশ কিছু নতুন মুখ। যাদের দলের দু:সময়ে দেখা না গেলেও দল ক্ষমতায় আসার পর রাজনীতির মাঠে সরব হতে দেখা গেছে। এছাড়া কমিটিতে জ্যেষ্ঠতা লংঘনের অভিযোগ করেছেন দলের নেতা কর্মীরা।
এর আগে ২৭ নভেম্বর ২০১৯ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় শেখ কামাল কমপ্লেক্স অডিটরিয়ামে কমিটি গঠন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় রাজনীতি। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন'র উপস্থিতিতে সভাপতি, সম্পাদক'র নাম ঘোষনার প্রায় দু'বছর পর অনুমোদন পায় নতুন এ কমিটি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামীলীগ। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সম্পাদক স্বাক্ষরিত নতুন কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে দলের দু:সময়ে হামলা, নির্যাতনের শিকার হওয়া দলের ত্যাগী নেতা কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ: বারেক মোল্লা, লতাচাপলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা: সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস, মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৪৩ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী আ: ছালাম আকন'র জায়গা হয়নি কমিটিতে। মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আ: মালেক আকন, সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাওলাদারের নাম নেই কমিটিতে। ধূলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আ: জলিল মাষ্টারের পদ মেলেনি নতুন কমিটিতে। সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা এএম মিজানুর রহমান বুলেট'র নাম নেই নতুন কমিটিতে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির সর্বাধিক ভোট পেয়ে তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও তার নাম দেখা যায়নি কমিটিতে। তবে একই পরিবারে ২-৪ জনও পেয়েছে দলীয় পদ।
উপজেলা আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিত নেতা আ: বারেক মোল্লা বলেন, 'আমি মানতে পারছিনা আমার নাম কমিটিতে নাই। মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আ: ছালাম আকন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,'দল করার অপরাধে জামাত-বিএনপি আমার হাত পিটিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিল। বহু মামলা, হামলার শিকার হয়েছি। দল যার পুরস্কার দিয়েছে এতদিন পর।' সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মো: হুমায়ুন কবির বলেন,'কলাপাড়া থেকে আমার নাম গিয়েছিল, জেলায় তদ্বিরের অভাবে বাদ পড়েছে। তবে নতুন যাদের নাম এসেছে তাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডও দেখা উচিৎ ছিল।'
উপজেলা আওয়ামীলীগের নব নির্বাচিত সম্পাদক আ: মোতালেব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, 'ত্যাগী যারা বাদ পড়েছে তাদের নাম উপজেলা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করে জেলায় অনুমোদনের জন্য প্রেরন করা হয়েছিল।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, 'উপজেলা থেকে যে তালিকা প্রেরন করা হয়েছে তাই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।