নওগাঁয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে দেড় হাজার গৃহহীন পরিবারের সুখেই বসবাস

রাজশাহী ব্যুরোঃ সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নওগাঁয় আরও ১৫৫৮টি গৃহহীন পরিবার তাদের ছেলে-মেয়ে ও পরিবার নিয়ে সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করছেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জেলার ১১টি উপজেলায় এসব গৃহহীন পরিবার জীবন যাপন করছেন। প্রতিটি ঘরে দুইটি কক্ষ, একটি টয়লেট, রান্নাঘর, কমনস্পেস, একটি বারান্দা, বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসব গৃহ প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা করে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কয়েকটি ঘরের ফাটল ও মেঝের প্লাষ্টার উঠে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসন বলছেন, নিচু জমি ভরাট করে নতুন মাটিতে ঘর নির্মাণ ও বর্ষার কারনে দুই একটি ঘরে এই সমস্যা দেখা গেছে। বড় ধরনের কোন সমস্যা নয়। এসব শুনার সাথে সাথে এসব ঘর পুনরায় মেরামত করে দেওয়া হয়েছে।


সদর উপজেলার আবাদপুর গ্রামের উপকারভোগী স্বপন জানান, আমি প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাওয়ার পর ঘরে উঠার কিছু দিন পর দেখি আমার ঘরের দেওয়াল ও মেঝের প্লাষ্টার উঠে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানানোর পর দেয়াল প্লাষ্টার ও মেঝেতে প্লাষ্টার করে দেয় এবং আবার রং করে ঠিক করে দিয়েছে। এখন আর কোন অসুবিধা নেই।

উপকারভোগী লুৎফর রহমান, ফরিদা খাতুন, রশিদা বিবি, আমিনুল ইসালামের সাথে কথা হলে তারা বলেন, একসময় তাদের কোন মাথা গোঁজার ভালো কোন ঠাঁই ছিল না, অন্যের জমিতে কুড়ে ঘর করে কোন রকম দিন যাপন করতেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের এসব ঘর করে দেওযার পর থেকে তাদের থাকার আর কোন অসুবিধা হয় না।

তারা আরও বলেন, এসব ঘরে টয়লেট, বিদ্যুৎ ও পানি সুব্যবস্থা থাকায় তাদের কোন রকম ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। বিদ্যুৎতের আলোয় ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাও করাতে পারেন। তাই আমরা খুশি। আমরা দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী যেভাবে আমাদের মত অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করেছেন আল্লাহ যেন এভাবেই তার উপকার করেন।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশীদ জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৫৫৮ জন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত পৃর্বক, কবুলিয়ত ও নামজারিসহ এসব ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব ঘর নির্মানে প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে মাঠ পর্যায়ে সরকারের কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। যার ফলে এত গুলো পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে।

ঘরে ফাটল ও মেঝে উঠে যাওয়ার প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, যেসব নিচু জমি ভরাট করে নতুন মাটিতে ঘর নির্মাণ ও বর্ষার কারনে দুই একটি ঘরে সামান্য এই সমস্যা দেখা গেছে। আমরা শুনার সাথে সাথে এসব ঘর পুনরায় মেরামত করে দিয়েছি। যাতে করে তাদের কোন থাকতে অসুবিধা না হয়। ইতিমধ্যে সেগুলো ঘর পরিদর্শনও করেছি। আমরাও চাই প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ নিয়ে এসব গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর হস্তান্তর করছেন সেই লক্ষ যেন পূরন হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ