সুমন হোসেনঃ বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে আজ থেকে ৭০ বছর আগে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন ঢাকার রাজপথ। পৃথিবীর ইতিহাসে সৃষ্টি হয়েছিল মাতৃভাষার জন্য আত্মদানের অভূতপূর্ব নজির। ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে, অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেওয়ার ইতিহাস সৃষ্টিকারী জাতি বাঙালি। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির চেতনার প্রতীক। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউর এবং নাম না জানা শহীদের রক্তে রাঙানো অমর একুশে বাঙালির পথের দিশা, প্রাণের স্পন্দন।
যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম প্রহরে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ, সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মিলনসহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য নেতাকর্মীরা এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর, স্বাধীনতা স্মৃতি যাদুঘর কমিটি, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, যশোর জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ,যশোর যুব মহিলা লীগ, অটোবাইক শ্রমিক কল্যান সমিতি, বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি, উপ-কর কমিশনের কার্যালয়, যশোর জেলা সার্কাস পার্টিসহ সকলে শহীদদের প্রতি বিনয়ী সম্মান প্রদর্শন করতে রাত ১২ টা বাজতেই সকলে শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন আত্মার শান্তি কামনা করতে।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
আজ সবার সব পথ এসে মিলবে এক অভিন্ন গন্তব্য- শহীদ মিনারে। হাতে হাতে ফুলের স্তবক, কণ্ঠে চির অম্লান সেই গান- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী/ আমি কি ভুলিতে পারি...’। ধীর পায়ে এগিয়ে যাবে আবালবৃদ্ধবনিতা। ভাষাশহীদদের প্রতি নিবেদিত শ্রদ্ধার ফুলে ঢেকে যাবে শহীদ মিনারের বেদি। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান ভাষাশহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। চিরপ্রেরণার অমর একুশে।
বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে আজ থেকে ৭০ বছর আগে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন ঢাকার রাজপথ। পৃথিবীর ইতিহাসে সৃষ্টি হয়েছিল মাতৃভাষার জন্য আত্মদানের অভূতপূর্ব নজির। ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে, অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেওয়ার ইতিহাস সৃষ্টিকারী জাতি বাঙালি। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির চেতনার প্রতীক। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউর এবং নাম না জানা শহীদের রক্তে রাঙানো অমর একুশে বাঙালির পথের দিশা, প্রাণের স্পন্দন।
মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মদানের এই অনন্য ঘটনা স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। আজ বাঙালির সঙ্গে সারা বিশ্বেই দিনটি পালিত হচ্ছে।বিনম্র শ্রদ্ধা হে বীর ভাষা যোদ্ধা।